শাল্লা প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাহাড়া ইউপির ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় ৪০দিনের কর্মসূচির কাজ অসমাপ্ত থাকার প্রতিবাদে বাহাড়া ইউপির আঙ্গারোয়া গ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) দুপুরে গ্রামবাসীর আয়োজনে দিরাই-শাল্লা রাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ভবানী চরণ দাশের সভাপতিত্বে ও সুরঞ্জিত চন্দ্র দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রজলাল দাস, পিলু চন্দ্র দাশ, সীতেশ চন্দ্র দাশ, নলিনী চন্দ্র দাশ সত্যব্রত দাশ, দীপক চন্দ্র দাশ, খেলু চন্দ্র দাশ, নিলেন্দু চন্দ্র দাশ, শান্তনু চন্দ্র দাশ, মানবেন্দ্র দাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন একই স্থানে বারবার বরাদ্দ দেয়া হয়। অথচ সঠিকভাবে কাজ করা হয় না। নামমাত্র মাটি ফেলে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। বাহাড়া ইউপির ইজিপিপি প্রকল্পের নীতিমালা উপেক্ষা করে ১নং ওয়ার্ড মেম্বার সহদেব দাশ তার আত্মীয়স্বজনদের শ্রমিক দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এর আগে ১নং ওয়ার্ডের দিরাই-শাল্লা রাস্তা হতে আঙ্গারোয়া গ্রাম পর্যন্ত পুনর্নির্মাণ কাজে বরাদ্দ হয় ৮লাখ, ৮০হাজার টাকা। কিন্তু কোনো কাজ না করেই ১লাখ ৭৬হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।
পরবর্তীতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে একই স্থানে দিরাই-শাল্লা রাস্তা হতে দয়াল দাশের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯লাখ ৬০হাজার টাকা। কিন্তু এবছরও নামমাত্র মাটি ফেলে রাস্তার কাজ অসম্পূর্ণ রেখে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। এরপূর্বে ১২মার্চ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেন ওই গ্রামের বাসিন্দা নিলেন্দু দাশ।
এবিষয়ে ১নং ওয়ার্ড সদস্য সহদেব দাশ বলেন প্রকল্প আছিল বড় ওই। ৯লাখ ৬০হাজার টাকার। ওইখানে একশ মিটারের ভিতরে কোনো মাটি নাই। মাটি বাইর থেকে আনা হইছে। দূর থেকে মাটি এনে পারি না। আমি অপারক। তখন আমি সেলেন্ডার করছি অফিসে। ৩০লেবার লেপস দিছে, ২৯ লেবারের টাকা পাইছি ৩০ দিনের। আমার লেবার ছিল ৫৯জন বলে জানান তিনি।
এব্যাপার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরদার ফজলুল করিম বলেন কাজ চলাকালীন সময়েই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসি অফিস থেকে তদন্ত দিছিল। আমরা তাদেরকে ৪০দিনের মধ্যে ৩০দিনের বিল দেওয়া হইছে। ১০দিনের বিল কম দিছি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।