শাল্লা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লা সম্মানিত অধ্যাপক,মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় তরুণ কান্তি দাসকে নিয়ে পিআইসিভোগীরা বিভিন্ন অনলাইনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করার ঘৃণিত চেষ্ঠার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন উপজেলার সুধীজন। কুচক্রি মহলের এমন কাণ্ডে নিন্দার ঝড় উঠেছে উপজেলাজুড়ে। এমন অসত্য, বানোয়াট ও মনগড়া সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সুধী মহল।
শনিবার (১৮মার্চ) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাবেক সভাপতি ও হাবিবুর রহমান বলেন তরুণ স্যার তো একজন ভালো মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের নিন্দা জানান তিনি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দাশ বলেন, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় অধ্যাপক তরুণ কান্তি দুর্নীতিবাজদের নোংড়া আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাকে হেয় করতে গিয়ে তারা নির্লজ্জভাবে নিজেদের দুর্নীতিকেই সামনে নিয়ে আসছে। এমন অসত্য সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি রথীন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন এটি অপপ্রচার। দুর্নীতির সাথে জড়িতরাই এমন অপপ্রচার চালিয়েছে। আমি এমন ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একজন তরুণ স্যারকে এভাবে অপপ্রচার চালিয়ে থামানো যাবেনা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস একজন ভালো মানুষ। সব সময় তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাঁর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করেছে তারা ঘৃণিত কাজ করেছে। আমি এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, তরুণ কান্তি দাসের মতো একজন গুণী মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা গুরুতর অন্যায় কাজ। এভাবে একজন শিক্ষিত মানুষের মানহানিকর সংবাদ করলে সমাজে কি বার্তা যাচ্ছে? ভালো মানুষের চরিত্র হনন সমাজের জন্য ভালো লক্ষণ না। আমি এই অপপ্রচারের নিন্দা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বলরাম দাস বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এভাবে অপপ্রচার করা ঠিক হয়নি। তিনি তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করেন। তিনি নিঃসন্দেহে ভালো একজন মানুষ।
গণ্যমান্য ব্যক্তি হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস তো সমাজের একজন সজ্জন ব্যক্তি। একজন ভালো মনের মানুষ ও অনুকরণীয় মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে মানুষ চিনে। তাদের অপপ্রচার হালে পানি পাচ্ছেনা।
কবি রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ বলেন, অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস তো মানুষ গড়ার কারিগর। সমাজের পথ প্রদর্শক। একজন গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রেরণা ও সাহসের এক অনন্য নাম। সবাই যখন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখে কলুপ এটে বসে থাকে তখন তিনি দ্রোহী হয়ে ওঠেন। এখানেই তিনি অনন্য ও সফল। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের দোসররা যখন তাঁর মতো একজন সমাজ কল্যাণকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার হয়, তখন বুঝা যায় সমাজ কোথায় যাচ্ছে। এটা তো মানহানিকর। আমার মনে যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তারাই এমন জঘন্যতম কাজ করেছে। এই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
অধ্যাপক কানাইলাল সরকার বলেন একজন শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অসত্য সংবাদ নিঃসন্দেহ নিন্দাজনক কাজ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন এমন সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনিও।
মুক্তিযুদ্ধের সংগটক, সাবেক বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বরেণ্য ও প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তি রামানন্দ দাশ বলেন এটা তো কল্পনার বাইরে। সমাজের একজন সুনামধন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার মেনে নেয়া যায় না। এসব অসত্যের বিরুদ্ধে সমাজের প্রত্যেক সচেতন মানুষকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এসব অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে পিআইসি সুবিধাভোগীদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত।
এবিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রেমবাসী দাস বলেন আমার জায়গার উপর দিয়ে পিআইসি গেছে। আমাকে ১২৮নং পিআইসির সদস্য সচিব রাখা হয়েছে। এটি তো আমার অধিকার। এখানে আমার ভাইয়ের কোনো হাত ছিলো না। আমার ভাই অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালিয়েছে আমি আজকে শুনেছি। ওরা ওইসব কথিত সাংবাদিকরা আমার কাছে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি তাদের টাকা দিই নাই। একারণেই আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন বলে জানান ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এব্যাপারে অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে একটি মহল। তারা আমাকে জড়িয়ে যেভাবে সংবাদ উপস্থাপন করেছে, এতে আমি সত্যিই বিব্রত। তিনি বলেন, আমি একজন বেসরকারি শিক্ষক। যেহেতু আমি সামাজিক সংগঠন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাথে যুক্ত, সেহেতু কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমি সেখানে ছিলাম। আমি সেদিন কলেজ থেকে ছুটিও নিয়েছি। আমার যা কিছু কর্মকাণ্ড সবই সমাজের কল্যাণকর কাজের জন্য।
উল্লেখ্য শাল্লা ডিগ্রি কলেজের একমাত্র প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক তরুণ কান্তি দাস। কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে একাই তিনি বাংলা, ইংরেজি ও ব্যবসায়ী শাখার অধিকাংশ বিষয়ে পাঠদান করতেন। এখনও তিনি ব্যবসা শাখার একমাত্র শিক্ষক। এছাড়াও তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দিশারী তিনি সমাজের পথপ্রদর্শক।
প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আজমাণ গণি তালুকদার বলেন, চামচামি করার একটা সীমা থাকে। এরা তো সীমা অতিক্রম করেছে সুনামধন্য একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে।
সংবাদ পরিবেশন করে। আমি ওই নিন্দনীয় সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এবিষয়ে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেন বলেন সমাজের শ্রদ্ধাভাজন একজন সুনামধন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করা মূলধারার সাংবাদিকদের কাজ নয়। অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস না কোনো পিআইসি, না কোনো সাইনবোর্ড, না কোনো সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস একজন প্রজ্ঞাবান মানুষ, মাটির মানুষ ও একজন সজ্জন ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে যে সংবাদ করা হয়ে তা অপপ্রচার। এটি হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয়। তারা নিজেরাই পিআইসির সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমি। তারা শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের কেউ নয়। তাদের এইসব অপকর্মের কারণেই প্রেসক্লাবে রাখা হয়নি তাদের বলে জানান প্রেসক্লাবের সভাপতি।