তমাল পোদ্দার, ছাতকঃ
ছাতকে সরকারি তারাবিলে পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসলাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে পানি সেচের ২টি পাম্প বন্ধ করে দেন। জানা যায়, ছাতক সদর ইউনিয়নের কুরিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে তারাবিল জলাশয় সরকারিভাবে লিজ গ্রহন করেন সমিতির সহ-সভাপতি উপেন্দ্র বিশ্বাস। জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ এর শর্ত ভঙ্গ করে জলমহালটি সাবলিজ প্রদান করেন সমিতির লোকজন। অধিক লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় সাব লিজ গ্রহীতারা বিলের পাড়ে পাম্প বসিয়ে পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণের প্রচেষ্টা চালায়। এ উদ্দেশ্যে গত ক’দিন ধরে পাম্প দিয়ে বিলের পানি অপসারন করছে সাব লিজ গ্রহীতারা। ওই কারনে বিলের আশপাশের প্রায় কয়েক শ’ একর বোরো জমি পানি সেচের সমস্যায় পড়ে। বিলের পানি শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধের জন্য ১২ মার্চ এলাকাবাসীর পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রহমত আলী নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে ২টি সেচ মেশিন বন্ধ করে দিলেও কয়েক ঘন্টার পর আবারো মেশিন চালু করে পানি নিস্কাশন অব্যাহত রাখে সাব ইজারাদার গ্রহীতারা। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে এর সত্যতা পান। রোববার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসলাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরের জামান চৌধুরী বলেন, জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।