স্টাফ রিপোর্টার::
এডভোকেট আসাদুল্লাহ সরকার, নূরুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন-একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। জীবন-যৌবন বাজি রেখে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করতে মৃত্যুভয় তুচ্চ করে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন। একমাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তানের সৈনিকদের সঙ্গে। ঝড়, বৃষ্টি, রোদে পোড়ে খেয়ে না খেয়ে বদবাদারে অবস্থান করেছেন। মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত করবে এই ছিল একমাত্র পণ। সম্মুখযুদ্ধে নেমে হারিয়েছেন সহযোদ্ধা। নিজেদের রক্তঘাম ঝড়িয়েছেন। যুদ্ধে যাওয়ায় হানাদার ও তাদের দোসররা জ্বালিয়ে দিয়েছিল বাড়িঘর, নির্যাতন করেছে স্বজনদের। একাত্তরের সেই দুঃসাহসি যোদ্ধাদের মুখে স্বাধীনতার সেই গল্প শুনেছে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনসের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তারা তন্ময় হয়ে শুনেছে বীর যোদ্ধাদের আতœত্যাগের কাহিনী। তারা একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে ওঠার পাশাপাশি দেশগঠনের কাজে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনস স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য এমনই এক অনন্য আয়োজন করেছিল সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নতুন প্রজন্মের কোমলমতিদের সামনে একাত্তরের আখ্যান তুলে ধরার জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক, সাত মার্চের ভাষন, যুদ্ধে নিজেদের অভিজ্ঞতা-আতœত্যাগ, পাকিস্তানিদের বর্বরতা, রাজাকারদের নৃশংসতা, বীরাঙ্গনাদের দুঃখগাথা তুলে ধরেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনস স্কুলের শিক্ষার্থীদের সামনে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু সাঈদ, সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসির্ ইখতিয়ার উদ্দিন চোধুরী, পুলিশ লাইন্স স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী ও অবিভাকবৃন্দ।