বিশেষ প্রতিনিধি::
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার স্বীকৃতি স্বরূপ সুনামগঞ্জের তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মো. জিয়াউল হককে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ১৬ তম বিশ্ব অটিজম সচেনতা দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নূরুজ্জামান আহমদ।
মো. জিয়াউল হকসহ অটিজম সচেতনতা ও সুরক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় এবার তিন প্রতিষ্ঠান ও ১০ জন ব্যক্তিকে জাতীয়ভাবে এই সম্মাননা দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করায় মো. জিয়াউল হককে ‘গ’ ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণাণয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমদ। বিশেষ অতিতির বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিশেষ সংখ্যায় ‘শিশুর আনন্দে বাড়ছে আশা’ শিরোনামে জিয়াউল হক কর্তৃক অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল নির্মাণ বিষয়ে সচিত্র প্রধান সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় এই স্কুলটি নির্মাণ করে দিয়েছেন জিয়াউল হক। স্কুল পরিচালনায় সরকারি জায়গায় নিজ খরচে একটি মার্কেটও করে দিয়েছেন তিনি। জেলা প্রশাসন কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ভবনটির নাম মো. জিয়াউল হকের বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবী মো. নূরুল হকের নামে নামকরণ করেছে।
মো. জিয়াউল হক এই ভবন নির্মাণের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান, গত করোনাকালে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা করে জাতীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। সম্মাননা প্রদানকালে ঘোষক তার বক্তব্যে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। পরে তার হাতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
মো. জিয়াউল হক বলেন, আমরা পারিারিকভাবেই কোন প্রত্যাশা থেকে মানবিক সহায়তা করিনা। যতদিন বেঁচে আছি পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নসহ মানবিক কাজে সহযোগিতা করে যাব। আমাদের প্রজন্মও যাতে মানুষের কল্যাণে কাজ করে এই প্রত্যশা আমাদের।