স্টাফ রিপোর্র্টার::
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ভা-াবিল হাওরে ফসলরক্ষা বাধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসারের (এসও) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক কৃষক নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগটি দায়ের করা হয়। সুনামগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগটির পিটিশন নম্বর-৪।
অভিযোগে প্রধান আসামি করা হয়েছে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ অনুমোদনকারী ও উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেবকে। অপর আসামি করা হয়েছে প্রকল্প অনুমোদনকারী, প্রাক্কলনকারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা সেকশন অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুমকে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন প্রকল্পের সদস্য শান্ত কুমার দাস, বকুল আহমদ ও বিপ্লব রায়। প্রকল্পের তিন আসামি এই হাওরের কৃষক না হয়েও এবং নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ এলাকায় জমি না থাকার পরও তাদেরকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ২৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০১ টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। আদালতে মঙ্গলবার অভিযোগটি দায়ের করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলের সদস্য মো. শওকত আলী।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শাল্লা উপজেলার ভান্ডাবিল হাওরের বৈশাখালী ভাঙ্গা পর্যন্ত ১৪৬ মিটার ফসলরক্ষ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে (প্রকল্প নং ২৭) অনুমোদন দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসারসহ কাবিটা কমিটি। ২৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০১ টাকা বরাদ্দের এই প্রকল্পটি সংশ্লিষ্টরা ২০১৭ এর নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে জমির মালিকদের না দিয়ে অন্যা এলাকার তিনজন পেশাজীবীর নামে প্রকল্প দেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, পরষ্পরের যোগসাজসে অনিয়মের মাধ্যমে অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা মোট বরাদ্দের দুই কিস্তির টাকা উত্তোলন করে তৃতীয় কিস্তির টাকাও উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
অভিযোগকারী মো. শওকত আলী বলেন, শাল্লা উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে অকৃষক ও বাঁধ এলাকার বাইরের ব্যক্তিদের অনিয়মের মাধ্যমে প্রকল্প দিয়েছেন। নীতিমালার বাইরে গিয়ে প্রকল্প দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিকার পেতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে অভিযোগ করেছি।
অভিযোগকারীর আইনজীবী এডভোকেট বিমান কান্তি রায় বলেন, আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে এবং পিটিশন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। তবে বিচারক না থাকায় কোন আদেশ দেওয়া হয়নি। বিচারক বসলে আদেশ পাওয়া যাবে।