হাওর ডেস্ক::
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, স্টার্ট বাংলাদেশ গড়তে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান অপরিসীম। আর এ ব্যাপারে সরকারের নীতি সহায়তা ছিল এবং ভবির্ষ্যতেও তা খোলা থাকবে। এখন আমরা খুব ভালো একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনীতির সব সূচকই অগ্রগামী। সরকার এখন দেশের অলিতে-গলিতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে যার সুফল ভোগ করছে দেশের মানুষ। চাইলে এখন যে কেউ গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস) আয়োজনে ‘সিটিব্যাংক বিএফডিএস কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার, ১০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আনছে দেশে। বতমান বিশ্ব বাজারে দেশের উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সারা অনেক অবদান রাখছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই সকল তরুনদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি বেশি আয় করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অর্জিত বিদেশি আয় নির্ধারিত অনলাইন প্লাটফর্মগুলোর মাধ্যমে দেশে আনলে এর বিপরীতে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এবং দেশের প্রতিটি ব্যাংককে এই ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বৈধ পথে যেমন আসবে রেমিটেন্স চাঙ্গা হবে অর্থনীতি।
এম এ মান্নান বলেন, ‘স্মাট বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বলেই বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে, এটা বড় অর্জন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সাররা মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তারা যা খুশি তাই করে। আমাদের তরুণেরা অনেক সাহসী, তরুণকালে এতো সাহস আমার ছিল না।’
এ সময় সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, আমরা ফ্রিল্যান্সারদের সব্বোর্চ সুবিধা দিয়ে আলাদা কার্ড করেছি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নানা সুযোগ-সুবিধাদি ও ব্যাকিং ঋণ পাবে। ডেবিট কার্ডসহ নানা বিষয়ে আমরা ফ্রি করে দিচ্ছি। ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়নে সিটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ছাড় দেবে। তরুণেরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করছে। এর ফলে দেশ গঠনে তরুণেরা অবদান রাখছে সিটি ব্যাংকও এসব তরুণদের পাশে থাকতে চায়।’ অতি শিগগির আমরা আশা করি ১ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারব।’
সম্মেলনে বিএফডিএসের চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের। এ বাজারে কাজ করছে বাংলাদেশের প্রায় অননাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে দশ লক্ষ বাংলাদেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কর্মী হিসাবে আমরা বিশ্বের দ্বিতীয়। অথচ আয়ের দিক থেকে ৮তম। আমদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং ঋণসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাচ্ছে। ঘরে বসে নারীরাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মে কর্মরত এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিএফডিএস এসব সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় বিএফডিএস প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন জয় বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুখে-দুঃখে সবসময় আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বিএফডিএস।