স্টাফ রিপোর্টার::
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৬ টায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৭ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে সীমান্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজারসহ তিনটি সীমান্ত উপজেলার জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ভেঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তাছাড়া হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোপা আমনেরও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরে প্রবাহিত ৬টি সীমান্ত নদী দিয়ে ভারতের উজান থেকে ঢল নামছে। বিশেষ করে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্ত সড়ক পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢল ও বর্ষণের পানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকালয়ে ডুকে পড়েছে। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক আনোয়ারপুর বাজার থেকে তাহিরপুর পর্যন্ত ডুবে গেছে। আনোয়ারপুর-ফতেপুর সড়ক ভেঙ্গে গেছে। বিশ্বম্ভরপুর-শরিফগঞ্জ সড়কও ভেঙ্গে গেছে। জেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এসব সড়ক স্থানে স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর যোগাযোগ্য ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে ঢল ও বর্ষণের পানিতে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, বিশ্বম্ভরপুর বাজার, তাহিরপুর বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত কয়েকদিন ধরে বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে উজানের পাহাড়ি ঢল। ফলে জেলার ছোট বড় সব নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। বৃষ্টি ও ঢলের পানি নি¤œাঞ্চলে চাপ সৃষ্টি করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাহেদুল হক বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে কিছু রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না সড়লে ক্ষতি বাড়বে বলে তিনি জানান।
ক্যাপশন: আনোয়ারপুর বাজার থেকে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেঙ্গে গেছে।