স্টাফ রিপোর্টার::
টানা তীব্র দাবদাহের পর সুনামগঞ্জে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে দমকা হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি ছিল। তবে সব স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়নি। শাল্লা, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও ছিল। শিলা বৃষ্টিতে হাওরের পাকা বোরো ফসল ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
বৃহষ্পতিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে প্রায় ৯টা পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির সঙ্গে আকাশে বজ্রপাতের চোখরাঙানিও ছিল। তবে কয়েকটি উপজেলায় মাঝারি শিলাবৃষ্টিতে পাকা বোরো ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষকরা। উল্লেখ্য গত ১৮ এপ্রিল রাত ১০টায় সুনামগঞ্জে তিন মিনিটের মতো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। তবে আজ রাতের প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী মাঝারি বৃষ্টিতে গরমে হাপিয়ে ওঠা সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার স্কুল শিক্ষক সমীরন দাশ বলেন, প্রায় মাস খানেক পর সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হলো। মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসও ছিল। শিলা ও দমকা বাতাস থাকলেও বৃষ্টিতে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষক লিটন মিয়া বলেন, বৃহষ্পতিবার রাত ৯টা থেকে বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সঙ্গে দমকা বাতাসও ছিল স্বস্তিকর।
শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কৃষক সন্দীপন বলেন, আমাদের উপজেলায় আধা ঘন্টা ব্যাপী মাঝারি বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে অল্প শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, সুনামগঞ্জে তীব্র দাবদাহ চলছে। আজকের রাতের বৃষ্টি অবশ্যই স্বস্তি দায়ক। এতে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম।