তাহিরপুর প্রতিনিধি::
চাঞ্চল্যকর শাকিব হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরে আব্দুজ জহুর চত্ত¡রে তাহিরপুর সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত সাকিবের চাচাতো ভাই উস্তার আলী বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘাগটিয়া গ্রামের ধনাঢ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি কালা বাহিনী প্রধান মোশারফের লোকজন আমার ভাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে সেখানে শাকিবকে চার হাত পা বেঁধে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে বর্বোরিচিত কায়দায় হত্যা করে। ছেলেকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে আমার চাচা ছুঁটে যান মোশারফের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কালা বাহিনী প্রধান মোশারফ সহ ১৫ থেকে ১৬ জন মিলে ছেলে শাকিবকে লোহার ও,ি শাবল, লোহার পাইপ, কাঠের রোল, বাঁশ দিয়ে বেধরকভাবে হাত পা বেঁধে মারপিট করছে। ছেলেকে বাঁচাতে বাবা প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন। এতেও টলেনি খুনীদের বিবেক। শেষে চাচাকেও মারপিট শুরু করে তারা। একপর্যায়ে বাড়ির টিনের বেড়া (প্রাচীর) ভেঙে পালিয়ে রক্ষা পান তিনি। সারারাত নির্যাতন করে চার হাত-পা ভেঙে সাকিবকে হত্যা করা হয়। এরকম ঘটনা শুধু তাহিরপুরেই নয় এর আগে সুনামগঞ্জ জেলা জুড়েও ঘটেনি। দ্রæত খুনীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন তিনি।
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা শাকিব হত্যাকান্ডের মামলাটিকে চাঞ্চল্যকর মামলা হিসাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকা ভুক্তিকরণ, আদালতে দ্রৃত চার্জশীট প্রদান ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন জাতীর জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপির নিকট।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীর, আঞ্জব আলী, হাফিজুর রহমান, আমির আলী, সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে তোজাম্মেল হক নাসরুম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাগটিয়া টেকেরঘাঁও গ্রামের গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শাকিব রহমানকে (২৫) স্থানীয় চক বাজার অপহরণ করে গ্রামের বাঁশপাড়ার কালা বাহিনী প্রধান মোশারফের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে হাত, চার হাত পা ভেঙে পিটিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের মোশারফ ও তার লালিত কালা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার রাতে তাহিরপুর থানায় শাকিবের বাবা মোশারফ হোসেন তালুকদারকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত নামা ৫ থেকে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার ও শনিবার গত দুদিনে মোশাহিদ ও বুলবুল নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করলেও এখনো অধরাই রয়ে গেছে কালা বহিনী প্রধান মোশারফ সহ অন্য আসামিরা।