ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে ৪ সন্তানের জনক কর্তৃক এক কিশোরীর ধর্ষনের মামলার আসামী ফয়জুল হককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ হোলাল উদ্দিনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো নিদেশ দেন।
গত ৩ মে দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউপির মুলতানপুর গ্রামের দিনমজুর বোরহান উদ্দিনের বসত ঘরে
টুকে কিশোরী মুখ হাত পা বেধে ধর্ষনের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে গ্রাম্য মাতব্বররা ব্যাপক চেষ্ঠা করে।
জানা যায়,কিশোরী মা নানার বাড়িতে ও বাবা ধান কাটতে হাওরের ছিল। এ সুযোগে গত ৩ মে দিন দুপুরে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাকে হাত-পা, মুখ বেঁধে জোরপুবক ধর্ষণ করেন ৪ সন্তানের জনক ফয়জুল হক। এ ঘটনায় ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করেছে গ্রামের মাতব্বররা। গত ৪ মে, সকালে গ্রামের ফুল মিয়ার বাড়িতে এক শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ষকের চাচাতো ভাই, শান্তিগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
অনুষ্টিত শালিস বৈঠকে ধর্ষক ফয়জুল হক (৪০) কে শাস্তি হিসেবে তার মাথার চুল কর্তন ও জুতার মালা পড়িয়ে শাস্তি দেয়।
অভিযুক্ত ৪ সন্তানের জনক ফয়জুল হক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির মুলতানপুর গ্রামের দলিল লেখক আব্দুস সালামের ভাই ও
মৃত সুলেমান আলীর পুত্র।
এ ঘটনায় গত ৫ মে সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা সুলতানা বেগম বাদী হয়ে ৪ সন্তানের জনক ধর্ষক ফয়জুল হককে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫ ছাতক থানায় নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইনের ২০০০ সংশোধনী ৩ এর ৯ এক ধারায় মামলা রেকর্ড় করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বোবহান উদ্দিন বলেন,আমি দরিদ্র মানুষ। দিনমজুরে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি হাওরের ধান কাটা ছিলাম। এদিকে তার মা-ও বাড়িতে ছিলনা। কিন্তু মেয়েটি ঘরে একা থাকায় ৪ সন্তানের জনক ফয়জুল হক তাকে সর্বনাশ করেছে।
এব্যাপারে ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্ত কিশোরী ধর্ষন মামলার আসামী ফয়জুল হককে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।