তাহিরপুর প্রতিনিধি::
দেশের ১৪তম এবং সুনামগঞ্জ জেলার তৃতীয় বর্ডার হাটের ক্রয়-বিক্রয় উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার বর্ডার হাটের উদ্বোধন হয়েছে। এ উপলক্ষে তাহিরপুর সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তবর্তী মানুষের মিলনমেলা ঘটেছিল। সকাল থেকে শত শত মানুষ ভিড় করেছিলেন। কেউ কিনতে, কেউ বা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে, কেউ বা দোকানের পণ্য নিয়ে প্রথম দিনেই কিছু কেনা-বেচার আশায় আসেন। দুইদেশের এমএলএ, এমপি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে হাটের কেনা বেচা শুরু করলেন। এসময় নানা শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠেছিল তাহিরপুর সীমান্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম আব্দুল্লা বিন রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা আক্তার খানম, সিলেট উপ-হাইকমিশনে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই-কমিশনার নিরাজ কুমার জায়সওয়াল, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, পুলিশ সুপার এহসান শাহ্, ২৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুবুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখ্ত পলিন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর, স্থানীয় বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- খাসিয়া হিলসের এম এল এ পিউস মারওয়েল, ডিপুটি ডাইরেক্টর (এমআইজেসি) ওয়ার সং, সাউথ ওয়েস্ট খাসিয়া হিলস রানীগর এডিসি লিংকর কিং জিং, ডেপুটি কমিশনার সাউথ ওয়েস্ট খাসি হিলস টি লেংগুয়া, মেঘালয় ১৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাজিব শর্মা।
বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকা সহেদাবাদ ও নালিকাটা সীমান্ত জনপদ। এখানে ভালো কোন হাট নেই। উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রয় করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেও যেতে হয় বহুদূর। অপেক্ষাকৃত অবহেলিত দুই দেশের এই জনপদের মানুষকে ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা দেবার জন্য যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠেছে দেশের ১৪ তম বর্ডার হাট। এপারের ১২ দোকানী এবং ওপারের ১২ দোকানী নিজ নিজ পণ্য নিয়ে সপ্তাহের প্রতি বুধবার এই হাটে আসতে পারবেন। বাড়ীর পাশের এমন হাট পেয়ে সন্তোষ্ট দুই পাড়ের বাসিন্দারা।