1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

উজানে বাধা, ভাটিতে ধলাই নদীর শেষযাত্রা ।। পাভেল পার্থ

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ৫.৫০ পিএম
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

এই গ্রহে নদীই সর্বব্যাপি ক্ষত নিয়ে গড়িয়ে চলা এক জীবন্ত প্রাণসত্তা। বেঁচে থাকবার জন্য কোনো জীবিত প্রাণের শরীরের সকল অংশের সুস্থতাই জরুরি। অস্থি-মজ্জা-হাড়-মাংশ কিংবা শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। কিন্তু আমরা চারধারে কী দেখি। এই নদীর হাত নেই, তো ওই নদীর চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। কোনো নদীর কলিজা পিষে দেয়া হয়েছে, কোনো নদীর শরীর থেকে ধড় আলাদা করা হয়েছে। খুব কম নদীকেই আমরা মাথায় চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ অবধি আপাদমস্তক সুস্থ খুঁজে পাব। নদীর জন্য সবচে কঠিন হলো উজান থেকে ভাটিতে গড়িয়ে চলার পথের ‘অতিসাধারণ নিরাপত্তা’। এটি কুসুম কুসুম ফুলের বিছানা বা মসৃণ মাটি কিংবা উত্তল পাথরের চাঁই নয়। কিংবা নদীর গড়িয়ে চলা পথের মামুলি নিরাপত্তার জন্য সমরাস্ত্র কারখানা বা জলপাই বাহিনীরও কোনো প্রয়োজন নাই। এর জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বা জাতিসংঘের কোনো বৈঠকেরও দরকার নাই। কেবল নদীর উজান থেকে ভাটিতে গড়িয়ে চলার পথকে বাধা না দিলেই হলো। কিন্তু এখানেই যত বগলবাজি, বাণিজ্য কিংবা বাহাদুরি। যে যেভাবে পারছে এক একটা নদীতে উজান থেকে ভাটিতে সর্বত্র কুপিয়ে পিটিয়ে থ্যাৎলে প্রতিদিন খুন-ধর্ষণ করে চলেছে। বিশেষ করে উজানে ও উৎসমুখে নদীগুলো জলবিদ্যুত প্রকল্প, বৃহৎ অবকাঠামো কিংবা বৃহৎ বাঁধের কাছে বন্দী। উন্নয়নের এই কারাগার থেকে খুব কম জলধারাই মুক্তি পেয়ে ভাটিতে গড়ায়। অধিকাংশের নিয়তি হয় পায়ে ডান্ডাবেড়ি আর শেকল নিয়ে দুমড়ে মুচরে গড়িয়ে চলা। এক্ষেত্রে সবচে বিপদে আছে আমাদের আন্ত:সীমান্ত অভিন্ন নদীগুলো। সবগুলোর উজানেই ভারতীয় অংশে তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা ও প্রকল্প। ভাটির বাংলাদেশে এসব নদীর জীবন ও প্রবাহ বদলে ফেলা হয়েছে। নদীর সাথে জড়িয়ে থাকা পেশা, জীবন, জীবিকা এবং বাস্তুতন্ত্র সবকিছুই দুম করে বদলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কোনো অভিন্ন জলধারাকে এভাবে লাগাতার একের পর এক উজানে বাঁধা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া অন্যায়। সমাজে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ কিংবা রাষ্ট্রের আইন কী আন্ত:রাষ্ট্রিক নীতি সকল বিবেচনাই উজানে বাধা দিয়ে ভাটিতে নদীতে মরণাপন্ন করে তোলা অপরাধ। কিন্তু তাই গটে চলেছে বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত নদীগুলির জীবনে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক অনন্য নদী ধলাই। এ নদীর উজানে ত্রিপুরা রাজ্যে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কারণে নদীটি প্রতিদিন পরিচয় ও অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে। চলতি আলাপখানি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের কাছে ধলাই নদীর সুরক্ষা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানায়।

আন্ত:সীমান্ত নদীর উজানে বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ভাটির বাংলাদেশ মূলত প্রথম প্রতিবাদী হয় ফারাক্কার বিরুদ্ধে। গঙ্গা ও পদ্মার অভিন্ন প্রবহমানতার দাবিতে। পরবর্তীতে তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে দু’দেশের রাজনৈতিক দরবার নানাভাবে উচ্চকিত হয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীপ্রণালীর উজানেও বৃহৎ বাঁধ প্রকল্প। মেঘনা-সুরমা-কুশিয়ারার উজানে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়েও এক নাগরিক প্রতিক্রিয়া সরব হয়েছিল। কিংবা ব্রহ্মপুত্রের উজানে চীনের পরিকল্পিত বৃহৎ প্রকল্প নিয়ে কিছু আলাপ জারি আছে। কিন্তু এর বাইরে দেশের অপরাপর আন্ত:সীমান্ত নদীর উজানে কী ঘটছে তা আমাদের জানাবোঝা ও আলাপচারিতা কিংবা নাগরিক প্রতিক্রিয়ার বাইরেই থাকছে।

২৯ ফেব্র“য়ারি ২০১২ তারিখে ‘মন্তডু-লেসকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের’ প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেঘালয় রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ড. মুকুল সাংমা (সূত্র : শিলং টাইমস-০১/৩/১২ এবং হিল পোস্ট-২৯/২/১২)। মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি জেলা জৈন্তিয়ার জোয়াই শহর থেকে ৪০ ক.মি. দূরে লেসকার ১০০ মিটার ভাটিতে মন্তডু, লামু ও উমসরিয়াং নদীর ত্রিমুখী সঙ্গমে পেডেকাংসাপ গ্রামের কাছে শুরু হয় ‘মন্তডু-লেসকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প’। এই নদীর ভাটিতে বাংলাদেশের সিলেটের সারী নদী। সারী নদীর উজানে এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাতারগুল জলাবনের বাস্তুতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে উজান থেকে ভাটিতে নেমে আসা ¯্রােত ও প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় সংবেদনশীল এ জলাবনের প্রাণ-প্রকৃতির বিকাশে সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তর-পূর্ব পানি-প্রতিবেশ অঞ্চলের এক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত নদী সারী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সারী-গোয়াইন নদীকে ২৮৪ নং আইডি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। লালাখাল চা বাগানের কাছে ভারতের লোভাছড়ি নদী হতে এই সারী-গোয়াইন নদীর উৎপত্তি। সিলেটের জৈন্তাপুরের কাছে প্রবেশ করে সারী নদী গোয়াইনঘাট এলাকায় গোয়াইন নাম ধারণ করে পরবর্তীতে সিলেটের বাদামঘাট এলাকায় চেঙ্গের খাল (সিঙ্গের খাল) নাম নিয়ে সুরমা নদীতে মিলেছে। সিলেটর জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার ভেতর দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। বারোমাসী স্রোত প্রবাহ নিয়ে প্রবাহিত সারী নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫.৭৫ কি.মি.। সারিঘাট এলাকায় বর্ষা মৌসুমে সারী নদীর গভীরতা থাকে ৮.৫০ মিটার এবং শীতকালে ০.৭৫ মিটার।
‘মন্তডু-লেসকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প’ উদ্বোধন হতে না হতেই ১৯/৯/২০১২ মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড়ের উমইয়্যু নদীতে উদ্বোধন করা হয় ‘মাওফু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প’ (সূত্র : মেঘালয় টাইমস ১৭/৯/২০১২)। উমইয়্যু নদীতে বাঁধ দিয়ে উক্ত বিদ্যুৎ প্রকল্প কারণে বাংলাদেশের সিলেটের ধলা নদীর প্রতিবেশীয় বৈশিষ্ট্য সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। উত্তর-পূর্ব পানি-প্রতিবেশ অঞ্চলে অবস্থিত সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত নদী ধলার আইডি নাম্বার-১৪৫। মেঘালয় পাহাড়ের উমইয়্যু পাহাড়ি নদীই হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের ধলা নদীর জলধারার মূল উৎস।

২০০৭ থেকেই বিষাক্ত হয়ে ওঠলো লুকা হ্রদ। কারণ খুঁজে দেখা গেল স্টার সিমেন্ট আর টপ সিমেন্ট কারখানার দূষণে নীলচে হয়ে যাচ্ছে এই অভিন্ন নদী। ২০০৪ সনে মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের লুম¯েœাং এলাকায় স্থাপিত হয় স্টার সিমেন্ট কারখানা। ২০০৬ সনে থাংস্কাইয়ের কাছে উমদহে স্থাপিত হয় টপ সিমেন্ট কারখানা। আর এই সিমেন্ট কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে দিনের পর দিন লুম¯েœাং এবং থাংস্কাইয়ের কাছে দূষিত হয়ে ঘননীল হয়ে যায় লুকা নদী। কেবল সিমেন্ট কারখানা নয়, মেঘালয় পাহাড়ে অপরিকল্পিত চুনাপাথর ও কয়লা খননের দূষণেও বিপন্ন হয়ে ওঠছে অভিন্ন নদীগুলি। এমনকি সংবেদনশীল এই অঞ্চলে অভিন্ন জলধারার উপর একের পর এক তৈরি হচ্ছে বৃহৎ বাঁধ। দেখা গেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে বাণিজ্যিক খনন, বাঁধ এবং বৃহৎ প্রকল্পের কারণে আন্ত:সীমান্ত নদীগুলি দূষিত হচ্ছে এবং এখানকার প্রাণ-প্রকৃতি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ছে। এই প্রবল উন্নয়ন বাহাদুরির কারণে এখানকার আন্ত:সীমান্ত নদী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে লোচ মাছ।
উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার চুলুবাড়ির হঠাৎবাজার থেকে মানিকবন্দর হয়ে এড়ারপার বাজার পর্যন্ত সড়কপথ উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। সড়কপথের কারণে এড়ারপারে ধলাই নদীতে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীতে বাঁধ দিয়ে এই সেতু তৈরির ফলে ধলাই নদীর ভাটিতে বাংলাদেশ অংশ এর প্রবাহ কমে গেছে। ২০২২ সনের ফেব্রুয়ারিতে ধলাই নদীর ওপর এড়ারপার লোহার সেতুটি ভেঙে যায়। এ কারণে ধলাই নদীর ওপর এখন গার্ডার সেতু নির্মিত হচ্ছে। সেতু নির্মাণের কারণে সেতুর পিলারের ভিত ঢালাই করার জন্য নদী প্রবাহে বাঁধ দেয়ায় ভাটিতে এর প্রবাহ আটকে গেছে। ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ৬৬.৭৭ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের মোকাবিল দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে ধলাই নদী। পরবর্তীতে ধলাই নদী মৌলভীবাজারে মনু নদীতে মিশেছে। ধলাইকে একসময় ‘কমলগঞ্জের দু:খ’ বলা হতো। দেশের ৬৪টি জেলার নদী, খাল ও জলাশয় পুন:খনন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) আওতায় ২০২০ সনে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ধলাই নদীর ২২টি স্থান চিহ্নিত করে নদীর চর খনন শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (সূত্র: ডেইলি অবজারভার, ২৮/৪/২৩)। কিন্তু এই খননকে অপরিকল্পিত খনন হিসেবে আখ্যা দিয়ে নদীপাড়ের মানুষেরা জানান, নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে বর্ষাকালে পানি উপচে আবারো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। এখন পরিস্থিত বিপদজনক। শীতকালে নদীটি শুকিয়ে যায় আর বর্ষায় নদীভাঙনে তলিয়ে যায় জমিন ও জনপদ। ধলাই নদীর উজানে ত্রিপুরাতে সেতু ও সড়কপথ নির্মাণপ্রকল্পের কারণে ভাটিতে ধলাইয়ের প্রবাহ শীর্ণ ও ক্ষীণকায় হচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশে মণিপুরী জাতিসত্তার (মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া, পাঙান) ঐতিহাসিক অঞ্চলে প্রবাহিত এ জলধারার সাথে মণিপুরী জীবন-সংস্কৃতির বহুমুখী সম্পর্ক আছে। উজান কিংবা ভাটিতে ধলাইয়ের প্রবাহ রুদ্ধ হলে মণিপুরী জীবনের বহুমাত্রিক বিন্যাসে বিরূপ ছন্দপতন ঘটবে।

অথচ অভিন্ন পানিপ্রবাহের ন্যায্যতা ও সুরক্ষাপ্রশ্নে আমরা রাষ্ট্রীয়, দ্বি-রাষ্ট্রিক ও বৈশ্বিকভাবে বহু অঙ্গীকার করেছি। ইরানের রামসার শহরে ১৯৭২ সালে রামসার সম্মেলনে প্রথম পৃথিবীর জলাভূমি বিষয়ে বৈশ্বিক মনোযোগ তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক জলপ্রবাহের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহারের জন্য ১৯৯৭ সনে জাতিসংঘ ‘নৌ চলাচল ব্যতীত আন্তজার্তিক জলপ্রবাহের অপরাপর ব্যবহার সম্পর্কিত আইন বিষয়ক সম্মেলন’ আয়োজন করে। উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১০৩টি রাষ্ট্র সম্মেলনের পক্ষে ভোট দেয় কিন্তু ভারত ভোট দানে বিরত থাকে। আন্তজার্তিক জলপ্রবাহের ন্যাসঙ্গত ব্যবহার এবং জলপ্রবাহের উপর এমন কোনো কিছু তৈরী না করা যাতে অন্য রাষ্ট্রের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে এমন বিষয়গুলো ১৯৯৭ সনের জাতিসংঘ কনভেনশনের ৫, ৭ এবং ১২ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৯৭ সনের জাতিসংঘ কনভেনশনের ১২নং ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোনো জলপ্রবাহের উপর কোনো প্রকল্প বা পরিকল্পনা গ্রহণের আগে এর ফলে সম্ভাব্য ক্ষতির শিকার রাষ্ট্রকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ণ দলিল ও কারিগরী তথ্য সেই রাষ্ট্রকে প্রদান করতে হবে, যাতে প্রকল্পকারী রাষ্ট্র এবং সম্ভাব্য ক্ষতির শিকার রাষ্ট্র উভয়েই পরিকল্পিত উদ্যোগের সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ণ করতে সক্ষম হয়’। জাতিসংঘের আন্তাজর্তিক প্রাণবৈচিত্র্য সনদে (সিবিডি ১৯৯২) বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই স্বাক্ষর করেছে। সিবিডির ১৪নং অনুচ্ছেদের ‘ঘ’ ধারায় স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, ‘চুক্তিবদ্ধ পক্ষ রাষ্ট্রের আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সৃষ্ট কোনো কারনে যদি অন্য কোনো রাষ্ট্রের প্রাণবৈচিত্র্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে তবে সম্ভাব্য ক্ষতির শিকার সেই রাষ্ট্রকে তা অবহিত করতে হবে এবং ক্ষতির পরিমান কমিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
আমরা আশা করবো ধলাই নদীর অভিন্ন পানিপ্রবাহ সুরক্ষিত থাকবে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন ধলাই নদীর অভিন্ন মুক্ত প্রবাহের বহমানতা নিশ্চিত করবে। রাষ্ট্রীয়, দ্বি-রাষ্ট্রিক এবং বৈশ্বিক অঙ্গীকারসমূহর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্বশীল হতে হবে। উজানে কোনো উন্নয়নপ্রকল্পের কারণে ভাটিতে ধলাই নদীর জীবন প্রশ্নহীনভাবে বিপন্ন হতে থাকলে এর ক্ষরণ ও দাগ কেবল ধলাই অববাহিকা নয়; সমগ্র বাস্তুতন্ত্র ও জীবনকেই বিমর্ষ করে তুলবে।

লেখক ও গবেষক। ই-মেইল: animistbangla@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!