স্টাফ রিপোর্টার::
টানা দাবদাহের কারণে সুনামগঞ্জের হাওর নদী পানিশুন্য। তবে বর্ষার প্রথম দিন আষাঢ়ের শুরু থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ নদীতে পানি বাড়ছে। নদীর পানি হাওরের বিভিন্ন ক্লোজার দিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন হাওরবাসী। পাশাপাশি নদী ও হাওরে পানি প্রবেশ করায় মাছ ডিম ছাড়তে সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনো সুনামগঞ্জের সব নদ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও আগামী ৭২ ঘন্টা সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ এই অঞ্চলের প্রধান নদ নদীতে ভারী বর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবহাওয়া ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র। উজানে ভারী বর্ষণের কারণে নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাবার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সকালের তুলনায় আরো দুই সেন্টিমিটার কমেছে। সকালের তুলনায় বৃষ্টিপাতও কম হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে ১৫ জুন বৃহষ্পতিবার সকালে ছাতকে সুরমা নদীর পানি ৭.১১ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে ৬.৯ এবং যাদুকাটায় ৬.৩৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় লাউড়েরগড় পয়েন্টে ১২৭ মিলিমিটার, ছাতকে ১৭২ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ১৯৪ মিলিমিটার এবং দিরাইয়ে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টাও সুনামগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। পাউবোর আবহাওয়া ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে আগামী ৭২ ঘন্টা উজানে ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণের কারণে সুরমা, কুশিয়ারা ও যাদুকাটা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর পূর্বাঞ্চল সিলেট শাখার বরাতে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ শামসুদ্দোহা বলেন, বর্ষার শুরুতে আষাঢ়ের প্রথম দিনেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উজানেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে আমাদের সীমান্ত নদ নদী গুলোতে পানি বাড়ছে। এই পানি সীমান্ত এলাকার হাওরগুলোর ফসল রক্ষা বাধের ক্লোজার দিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে।