স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমানকে দুর্নীতির অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
গত ১৪ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশাসন শাখা-১ এর ৩৮.০০.০০০০.০০১.১৯.০০৫.১৬.৪২৯ নম্বর স্মারকে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। গতকাল ১৮ জুন রবিবার তিনি খাগড়াছড়িতে যোগদান করায় মন্ত্রণালয় তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে। তবে ঈদুল আজহার পরে তিনি যোগদান করবেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিনকে সুনামগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তিনিও ঈদের পরে যোগদান করবেন বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য স্ট্যান্ডরিলিজকৃত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রাহমান বিধি ভেঙ্গে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়নে দুর্নীতি, শিক্ষক বদলিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি, চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষকদের বদলিতে অনিয়ম, যোগ্যতা অর্জন না করে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পেনশন প্রদানের নামে অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। এসব অনিয়ম নিয়ে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পদায়নে তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয়সভায় আলোচনা হয়েছে। এসব সংবাদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ মহল ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা অবগত হয়ে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেন। সম্প্রতি তাহিরপুর থেকে একজন শিক্ষিকাকে বদলি আইন অমান্য করে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে শাল্লায় বদলি করতে হণ্যে হয়ে ওঠেন তিনি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি লিখে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেন। এসব অমান্য করেই তিনি গত ১ জুন ওই শিক্ষিকাকে শাল্লায় যোগদান করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দেন। ওই শিক্ষিকা গত ৪ জুন যোগদান করেছেন। এসব অনিয়মের কারণেই তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এদিকে স্ট্যান্ড রিলিজের পরদিনই তিনি বদলি ফেরাতে বিমানযোগে ঢাকায় ছুটে যান। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করেও ব্যর্থ হন। মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বদলি ঠেকানোর অনুরোধ করলে তাকে তিরস্কার করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে এসএম আব্দুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি।