স্টাফ রিপোর্টার::
পানিতে ফুলে ফেপে ওঠেছে হাওর। ছোট খুপড়ি ঘর ডুবু ডুবু করছে। এই অবস্থা দেখে বাবা সোহেল মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা বরতে ছুটে আসেন পুরনো গ্রামে। পরে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন এনজিওর ঋণ আনতে। এর মধ্যেই খুপড়ি ঘরে পানি ওঠে যায়। এই অবস্থা দেখে ১৪ বছর বয়সের কড় ভাই নাঈম মিয়াকে রেখে একটি হাতে বাওয়া ভাঙ্গা নৌকায় তন্নি বেগম (১২) তার ছোট ভাই রাহিম মিয়া (৪) ও ছোট বোন তান্নি বেগম (৭) কে নিয়ে গ্রামে আসতে রওয়ানা দেয়। কয়েক মিনিট ভাঙ্গা পুরনো হাতে বাওয়া নৌকাটি হাত দিয়ে তিন ভাই বোন চালানোর পর ডুবে যায়। ছোট ভাই ও বোনকে ধরে দুই হাতে সাতার কেটে তীরে আসতে গিয়ে এক সময় তিনজনই মারা যায়। এভাবেই ২ জুলাই রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হতদরিদ্র সোহেল মিয়ার তিন সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মুষড়ে পরেছে তার পরিবার।
বড়ো ভাই নাঈম মিয়া ডুবে যাওয়া বসতঘর থেকে সেই দৃশ্য দেখে সাতার কেটে নৌকার কাছে ছুটে আসলেও তাদের খুজে পায়নি। সে তীরে ওঠে গ্রামবাসীকে বললে তারা গিয়ে নিহত তিন শিশু কিশোর ভাই বোনকে মৃত উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
বিকেলে বিনা ময়না তদন্তে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে বলে জানান, ইউপি সদস্য মহিনুর মিয়া। তিনি আরো জানান, ওই পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহায়তা করা হয়েছে।