স্টাফ রিপোর্টার::
শাল্লায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণচেষ্ঠার অভিযোগে এক হতদরিদ্র নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার তিনি শাল্লা থানায় এই অভিযোগ দেন। তবে থানা এখনো মামলাটি গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে। এদিকে ওই নারীকে মামলা না করে আপস করতে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে বাহাড়া ইউনিয়নের মেঘনাপাড়া গ্রামের নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী অন্যের বাড়িতে কাজকাম করে সংসার চালান। কাজ না থাকলে তিনি হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। একই গ্রামের সাবলাল দাসের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য প্রদীপ দাস প্রায়ই পরিবারের দুরাবস্থার সুযোগে ওই নারীকে উত্যক্ত করে আসছেন। এ বিষয়টি তিনি তার স্বামীকেও অবগত করেন এবং গন্যামান্য কয়েকজনকেও বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন। তার স্বামী প্রদীপের আত্নীয় স্বজনদের বিষয়টি অবগত করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। সামাজিকভাবে অভিযোগ করায় ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে প্রদীপ দাস।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট বৃহষ্পতিবার ভোররাতে ওই নারীর স্বামী হাওরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। এই সুযোগে প্রদীপ দাস ওই নারীর বসতঘরে ডুকে তাকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এই অবস্থায় ওই নারী ধস্তাধস্তি করে যখন পারছিলেন না তখন চিৎকার করলে তার আত্নীয়-স্বজনরা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় প্রদীপ দাস।
এ ঘটনায় ওই নারী ও তার স্বামী মামলা করতে চাইলে নানাভাবে বাধা দেন প্রদীপ। অবশেষে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় তারা শাল্লা থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করলেও এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রদীপ দাসের বক্তব্য নিতে চাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ওই নারীর স্বামী জানান, আমরা হতদরিদ্র মানুষ। কাজ কাম করে খাই। প্রদীপ দীর্ঘদিন ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে লেগেছে। কুপ্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বৃহষ্পতিবার ভোরে ঘরে প্রবেশ করে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এখন আমরা যাতে মামলা করতে না পারি সেজন্য নানাভাবে তদবির করছে। হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়ে গেছে। পুলিশ পাঠিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।