স্টাফ রিপোর্টার::
বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে জেলা শহরের বাইরে মদনপুর পয়েন্টে গাড়ি, সিএনজি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে বাস ও সিএনজি ভাংচুর করা হয়েছে এগুলো বিএনপির অবরোধ মেনে মদনপুর পয়েন্টে পার্কিং করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝটিকা মিছিল নিয়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী এগুলো ভাংচুর করে আবার চম্পট দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মইনুর মিয়া বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল ও সাংগঠনকি সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের নেতৃত্বে মদনপুর পয়েন্টে হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের হয়। এসময় অবরোধ ও হরতালের কারণে স্টেশনে পার্কিং করে রাখা একটি বাস, একটি সিএনজি এবং একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করা হয়। তারা চলে যাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
সিএজজি পাম্পে মোটর সাইকেলের তেল ভরতে যাওয়া যুবক মুসলিম উদ্দিন বলেন, আমি মদনপুর পয়েন্টে যাবার পরই দেখি বিএনপি নেতারা একটি ছোট মিছিল বের করেন। এসময় স্ট্যান্ডে পার্ক করে রাখা একটি বাস ও সিএনজি ভাংচুর করে তারা। ভাংচুর করা পরিবহন গুলো অবরোধ মেনেই পার্কিং করা ছিল। তিনি আরো বলেন, আমরার সাংবাদিক কোয়াই, ছবি তুলো তুলো বলে এক বিএনপি এক নেতা উপস্থিত ২-৩ জন সাংবাদিককে অনুরোধ জানান। এই উৎসাহী সাংবাদিকরা ডাক শুনে দ্রুত ছবি ও ভিডিও তুলতে থাকেন।
মদনপুর পয়েন্টে লেগুনা মালিক সমিতিরি ম্যানেজার কফিল উদ্দিন জানান, যে পরিবহন ভাংচুর করা হয়েছে সেগুলো পয়েন্টে অবরোধ মেনে পার্কিং করা ছিল। তবে তখন আমি ঘটনাস্থলে ছিলামনা।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।