স্টাফ রিপোর্টার::
পিতার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জে রাতের আধারে বাড়িতে এসে একা পেয়ে সাংবাদিক পুত্রকে বেধড়ক পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রড ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বুধবার রাতে শাল্লা উপজেলায় কর্মরত দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন তালুকদারের উপর এই হামলা চালানো হয়। সন্দীপন তালুকদারকে উদ্ধার করে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী ও আহত সাংবাদিকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের উজানযাত্রাপুর গ্রামের সীতেশ তালুকদারের সঙ্গে একই গ্রামের হরিলাল দাস ও তার আতœীয়-স্বজনদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ ঘটনায় মামলাও চলছে। বুধবার রাতে বাড়িতে একা ছিলেন সন্দীপন তালুকদার ও তার স্কুল শিক্ষক স্ত্রী। পরিবারের অন্যরা সিলেটে ও উপজেলা সদরে ছিলেন। এই সুযোগে রাত সাড়ে ১০টায় সন্দীপন তালুকদারকে বাড়ির আঙ্গিনায় একা পেয়ে রড ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হরিলাল দাসহসহ তার ছেলে নিহার দাস, ভাই নিখিলেশ দাস, জিপেন্দ্র দাস, বজ্রবাসী দাসসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায়। সন্দীপনের দুই হাত ও দুই পাসহ শরিরে এলোপাথারি আঘাত করে নিস্তেজ হয়ে এলে পালিয়ে যায়। পালাবার সময় তার মোবাইল, মানি ব্যাগও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্দিপনের উপর হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত সাংবাদিক সন্দীপন তালুকদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতে শিশু সন্তান নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী অবস্থান করছি। বুধবার রাতে হরিলাল দাসের নেতৃত্বে কয়েকজন হঠাৎ আমার উপর রড নিয়ে চড়াও হয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। আমি নিস্তেজ হয়ে এলে তারা পালিয়ে যায় এবং আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে। হামলাকারীরা আমাকে টার্গেট করে রাতের আধারে হামলা করেছে।
অভিযুক্ত হরিলাল দাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
শাল্লা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শুনেছি জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা আছে। তবে এভাবে রাতের আধারে একজনের উপর এভাবে সংঘবদ্ধ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।