1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

ড. মোহাম্মদ সাদিক টিকে থাকায় উৎফুল্ল আওয়ামী লীগ

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭.৩৯ পিএম
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
মর্যাদাপূর্ণ সুনামগঞ্জ-৪ আসনটি (সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর) এবার মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে না দেওয়ায় উৎফুল্লু সুনামগঞ্জের তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতার পরে সর্বশেষ এই আসনে ১৯৯১ সনে প্রয়াত জননেতা আব্দুজ জহুর মিয়া নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিন জেলা সদরের মর্যাদাপূর্ণ আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া থাকায় হতাশ ছিলেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এবার নির্বাচনের আগ থেকেই সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান ছিল এই আসনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার জন্য। তৃণমূলের আহ্বানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড এই আসনে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিককে মনোনয়ন দেয়। তবে জোটগত কারণে বিষয়টি ঝুলে ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অবশেষে আওয়ামী লীগ ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ড. মোহাম্মদ সাদিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকেই লড়ছেন।
সুনামগঞ্জ-সদর বিশ্বম্ভরপুর নিয়ে বিস্তৃত আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা: ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৭। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৪ জন। ১১২টি ভোট কেন্দ্রের এই আসনে দুটি উপজেলা, একটি পৌরসভা ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। ২০০৮ সনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মহাজোট প্রার্থী বেগম মমতাজ ইকবাল লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সনে তিনি মারা গেলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মো. মতিউর রহমান নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় পার্টিতে গিয়ে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মহাজোট প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন।
টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষুব্দ ছিলেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এবার নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হলে তারা আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানান। অবশেষে ড. মোহাম্মদ সাদিককে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। গতকাল রবিবার মহাজোটকে অন্যান্য আসন ছেড়ে দিলেও এই আসনটি উন্মুক্ত নির্বাচনের জন্য রাখে আওয়ামী লীগ। ফলে এই আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ড. মোহাম্মদ সাদিক। তবে ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। ভোটযুদ্ধে ইমন ফ্যাক্টর হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর ঘোষনা দেবেন বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও আইডিয়াল কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরহাদ আহমদ বলেন, তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একটাই দাবি ছিল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জন্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার কানে তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাহাকার, কান্না পৌঁছে ছিল। তাই উন্নয়ন বঞ্চিত সদর আসনে তিনি বিশিষ্ট একজন ব্যক্তি ড. মোহাম্মদ সাদিককে খুঁজে বের করেছেন। তিনি মনোনয়ন পাবার পরই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। শেষ পর্যন্ত মহাজোটকে আসনটি ছেড়ে না দেওয়ায় তৃণমূল এখন উচ্ছ্বসিত। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয়ের অপেক্ষায় আছি আমরা।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত। তৃণমূল মূল্যায়ণ না পেয়ে হতাশ। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রার্থী টিকে থাকায় সবাই উজ্জীবিত। একাট্টা হয়ে কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, ড. মোহাম্মদ সাদিক দেশ বিদেশে পরিচিত একটি নাম। তিনি আমাদের অহঙ্কার। নেত্রী রতন খুঁজে বের করেছেন। তার হাত ধরেই আমাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব। এ কারণেই শেষ পর্যন্ত মাহাজোট প্রার্থীকে আসনটি ছাড় দেওয়া হয়নি। আমরা তাকে বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, মনোনয়ন পাবার পর থেকে আজ উন্মুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা আসার পর নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ খুশি। সাধারণ মানুষের এই শুভ প্রতিক্রিয়াই আমার শক্তি। ইনশাআল্লাহ নৌকার বিজয় হবেই। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী উচ্ছ্বসিত। এই উচ্ছ্বাস নিয়েই তারা নির্বাচনী মাঠে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবেন।
উল্লেখ্য এই আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাড়াও জাসদ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী রয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!