বিশেষ প্রতিনিধি::
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে কত পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বলা যায় আইনে সেটা কোথাও লেখা নাই। ভোটার যত পার্সেন্টই হোকনা কেন আমরা ফলাফল সেটাই দিবো। এর আগেও আমরা এভাবে রেজাল্ট দিয়েছি।
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি হাসনরাজা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা থেকে বেড়িয়ে সাংবাদিকদেরকে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করেন।
বিএনপি ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি পক্ষ ভোটে অংশগ্রহণ করেনি। ভোটে অংশগ্রহণ না করার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া, ভোট কেন্দ্রে আসা যাওয়ায় বাধার অধিকার তাদের নেই। আইনে পরিষ্কার বলা আছে এধরনের কাজ অপরাধ। আইনে অপরাধের শাস্তির কথাও পরিষ্কারভাবে বলা আছে। এধরনের অপরাধমূলক কাজ হলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ব্যবস্থাও নিচ্ছে। তিনি বলেন, যারা বলছে পাতানো নির্বাচন হবে, তারা অহেতুক বলছে। কারণ আমরা এক বছর দশমাস ধরে আছি। কোনও দলীয় চাপ অনুভব করছিনা। আমরা আমাদের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করছি। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করাই আমাদের প্রধান কাজ।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি, এই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সেলিম আহমেদ প্রমুখ। সভায় জাতীয় পার্টি প্রার্থী এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গসহ নানা অভিযোগ আনেন। এছাড়াও সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপিও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রভাববিস্তারসহ আইন নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান প্রার্থীদেরকে লিখিতভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেছেন।