বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট রঞ্জিত সরকারের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে ডুকে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর, পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে ফেলাসহ অফিস তছনছ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার আতœীয়-স্বজনরা। বুধবার রাত ৭টায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্থাপিত নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য শামীম আহমদ মুরাদ। উল্লেখ্য এর আগেও তিনি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। একই অভিযোগে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি বরাবরও দাখিল করেছেন তিনি।
লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন উপজেলার জামায়াত, হেফাজত, বিএনপিসহ ১৫-১৬জন লোক নিয়ে নৌকার কার্যালয়ে দায়িত্বরত রাকিবের স্মার্ট ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। পরে তিনি নিজ হাতে কার্যালয়ে সাটানো ব্যানার ও পোস্টার ছিড়ে ফেলার পাশাপাশি চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেন। এসময় তাদেরকে বাধা দিলে অফিসে অবস্থানরত ৫জনকে মারধরও করা হয়। কার্যালয় ভাংচুরে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আতœীয় আবুল হাশেম আলম, শাহরিয়ার নাফিজ, আবুল কাশেম ও মোহাম্মদ মোজাহিদসহ ১৫-১৬জন ছিল বলে লিখিত আবেদনে জানানো হয়। এসব কার্যক্রম নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্গন ও প্রচলিত আইনবিরোধী বলে অভিযোগে উল্লেখ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
অভিযোগকারী শামীম আহমদ মুরাদ বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জামাত বিএনপি ও হেফাজতসহ সন্ত্রাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছেন। মারধর করেছেন কার্যালয়ে দায়িত্বরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। তিনি প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। আজ আবারও করেছি। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
অভিযুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি বলেন, আমি কোথাও ভাংচুর বা হামলায় জড়িত নই। বরং আমার নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি ও ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে।