বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য ও এবারের জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলার দায়ের হয়েছে। শনিবার বিকেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে গণপ্রতনিধিত্ব আদেশ ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্গনের অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক উপজেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপাশা থানার ওসি। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য শামীম আহমদ মুরাদ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। একই অভিযোগ তিনি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি বরাবরও করেছিলেন। এছাড়াও ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মহসিন আহমদও এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
মামলার বিবরণে জানানো হয় গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও তার আতœীয়-স্বজনরা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্থাপিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট রঞ্জিত সরকারের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেন ও তার সমর্থকদের মারধর করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে স্মারক নং ১৭.০০.০০০০.০৪৫.৪৮.০০১. ২৪.৭০ পত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, নুরে আলম নুরু, আবুল কাশেম, হাশেম, মোজাহিদ ও তোফায়েলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্গনের অভিযোগে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়। গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা নৌকার কর্মীদের ফোন ভাঙাসহ নৌকা মার্কার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। নৌকার নির্বাচনী অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে এবং নৌকার সমর্থকদের গালিগালাজ, কিলঘুষি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ দেওয়া হয় যা পরবর্তীতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া যায়। এর আলোকেই নির্বাচন কমিশন বিধিভঙ্গেও অভিযোগে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ধর্মপাশা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আমি নিজে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আমি এই মামলা দায়ের করেছি।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হকের দায়ের করা অভিযোগপত্র পেয়েছি। এতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ৫ বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আলোকে ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু হয়েছে।