স্টাফ রিপোর্টার::
রাজনীতির মাঠে সজ্জন পরিচিত ও সুনামগঞ্জবাসীর কাছে হাওর রতœ ও উন্নয়নের রূপকার খ্যাত সুনামগঞ্জ-৩ আসনের টানা তিনবারের এমপি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে নির্ভার প্রার্থী হিসেবে ছিলেন। তার সঙ্গে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী। তবে ইসলামভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম তাকে বহিষ্কার করায় তিনি এবার ভোটে দাড়িয়ে সুবিধা করতে পারেননি। নির্বাচনী মাঠে নিষ্প্রভ ছিলেন। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের নামে সহযোগিতা উত্তোলন করে টাকা নয়ছয় করা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দেওয়াসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। এবারের জাতীয় নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে আসার পর তিনি মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ভোটাররাও তার প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই সুযোগে নির্বাচনী এলাকা শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ উন্নয়নে বিশ্বাসী সর্ব শ্রেণির মানুষের মন জয় করে মাঠে তুমুল প্রচারণা চালিয়েছেন। তার নির্বাচনী জনসংযোগ ও সভায় ঐক্যবদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগসহ নিরপেক্ষ ও সচেতন মানুষদেরও দেখা গেছে। ফলে শুরু থেকেই বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন তিনি ও সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় তারা এখন বিজয়ের অপেক্ষায় আছেন। আবারও তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হবেন এই অপেক্ষায় আছেন জেলাবাসী।
নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে টানা জয় পেয়েছিলেন এমএ মান্নান। নবম জাতীয় নির্বাচনে তাকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হয়ে পূর্ণমন্ত্রী হয়ে জেলার অসমাপ্ত উন্নয়ন এগিয়ে নিবেন বলে মনে করছেন জেলাবাসী।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন বলেন, সুনামগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় এবারও ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এমএ মান্নানকে পুনরায় বিজয়ী করবেন ভোটাররা। আমরা তার বিপুল ভোটে বিজয়ের অপেক্ষায় আছি। এবারও তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবেন এটা শুধু আমাদের নির্বাচনী এলাকা নয় পুরো জেলাবাসী বিশ্বাস করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার এই নির্বাচনে বিধি মেনে প্রচার চালিয়েছি। আহ্বান জানিয়েছি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্য। আমরা এবার বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যবদ্ধতার প্রকাশ হবে ভোট উৎসব। জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জবাসী ভোট উৎসবে শরিক হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিবেন এই বিশ্বাস করি আমি।