স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ-২ আসনে গত অর্ধ শতাব্দী ধরে রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাকে এই আসনের মানুষ সাতবার এমপি নির্বাচিত করেছিলেন। পাশের আজমিরিগঞ্জ আসন থেকে আরেকবার নির্বাচিত হন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা রাজনীতির হাল ধরেন। মাকে আড়ালে থেকে পরিচালনা করেন তার সন্তান সৌমেন সেনগুপ্ত। ড. জয়া সেনগুপ্তা টানা দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি এবার আওয়ামী লীগ ড. জয়া সেনকে মনোনয়ন না দিলে তিনি এলাকাবাসীর চাপে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হন। তার পক্ষে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা দাড়ান। অবশেষে শক্তিশালী প্রার্থী পুলিশ প্রধানের ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আল আমিন চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ের মালা পড়েছেন তিনি।
তার সমর্থকরা জানান, ড. জয়া সেনগুপ্তার জয় কেড়ে নিতে ষড়যন্ত্র হয়েছে। নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে। দিরাই ও শাল্লা আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হয়েছে। ঘাগটিয়া শুকুর নগর, র্মীর্জাপুর, আদিত্যপুরসহ কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে তাকে পরাজিত করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভোটাররা এই অপচেষ্টা প্রতিহত করে তাকে কাচি প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
রবিবার রাত ১২টায় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। ঘোষিত ফলাফলে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নৌকা প্রতীকে ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়েছেন।