দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টায় রফিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার গুরুতর আহত সমর্থক তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রফিনগর গ্রামের নৌকার সমর্থক আব্দুল্লাহ তার কয়েকজন সমর্থকদের নিয়ে জাল ভোট দিতে চাইলে বাধা দেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার সমর্থক বায়েজিদ মিয়াসহ কয়েকজন বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে বৃহষ্পতিবার স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এগিয়ে এসে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে সংঘর্ষে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার সমর্থক রাহেল আহমদ (৩০), ধন মিয়া (৭৫), সবুজ মিয়া (৩৫), নৌকার সমর্থক ফুজায়েল মিয়াসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত রাহেল আহমদ ও ফুজায়েল মিয়াকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎস আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্বতন্ত্রপার্থীর সমর্থক বায়েজিদ মিয়া বলেন, আব্দুল্লাহ ও তার সমর্থকরা ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করে নৌকায় ভোট দিতে চেয়েছিলো। আমরা তাদের বাঁধ দেওয়ায় আমাদের হুমকি ধমকি দেয়। এই জেরে আজ আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হন।
নৌকার সমর্থক আব্দুল্লাহ বলেন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা জয়ী হওয়ার পর থেকে তার সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে উসকানি মূলক আচরণ করে আসছিল। আজ বাড়ির পাশের একটি জায়গা তারা জোর পূর্বক দখল করতে গেলে আমরা বাধা দিয়েছিলাম। এ ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দিরাই থানার ওসি ইফতেখার চৌধুরী বলেন, পূর্ববিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি শান্ত আছে।