সাগর দাশ :
শাল্লায় মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের ৬লাখ টাকা ফেরত পেলেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫০জন নারী। ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে উপজেলা মহিলা দপ্তর থেকে এসব টাকা ফেরত দেয়া হয়। ভুক্তভোগী নারীরা সপ্তাহ খানেক পূর্বে প্রেসক্লাবে এসে বলেছিলেন ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ ফ্যাশন ডিজাইন, শতরঞ্জি ও হস্তশিল্পের ১৮তম ব্যাচের দু’টি ট্রেডে মোট ৫০জন নারী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন তারা। সেখানে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ২০০ টাকা করে ৬০দিনে মোট জনপ্রতি ১২ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশিক্ষক নুরুল আমিন আমাদের টাকা আর দেয় না। মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আজকাল বলতে বলতে সময় পার করেন ১বছর।
আমরা এখন নিরুপায়। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অথবা রাজপথে আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের আর পথ নাই। শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ তৎক্ষনাৎ প্রশিক্ষক নুরুল আমিনের সাথে কথা বলেন। কিন্তু নুরুল আমিন প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে বলে এড়িয়ে যান। পরে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করেন সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এ.জে.এম রেজাউল আলমের সাথে। তিনি বলেছিলেন ১সপ্তাহের ভেতরে তাদের টাকা ফেরত দেবেন। তবে সংবাদ সম্মেলন কিংবা রাজপথে আন্দোলন না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। ভুক্তভোগী নারীরা যে পাবেন তার জন্য প্রমান স্বরূপ তাদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত দেয়ার কথা বলেছিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। সাংবাদিকরা ওই কর্মকর্তার অনুরোধ রাখলেন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের নিকট দেয়া প্রতিশ্রুতির ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই কথা রাখলেন তিনি। উপজেলার ৫০জন ভুক্তভোগী নারীদের মাঝে জনপ্রতি ১২হাজার টাকা করে ৬লাখ টাকা নিজে এসে বিতরণ করে গেলেন। ভুক্তভোগী নারীরা ১বছর পর তাদের প্রাপ্য টাকা পেয়ে খুবই খুশি। এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তারা।