1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

গুজব রটিয়ে মধ্যরাতে তাহিরপুরের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে উগ্রবাদীদের হামলা

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৮.৪৪ পিএম
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গুজব রটিয়ে সোমবার মধ্যরাতে হিলফুল ফুজুল নামের একটি সংগঠনের লোকজন হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এতে দুই পুলিশ আহত হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় হামলায় জড়িত ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর থানায় ১২ হামলাকারীর নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাদাঘাট বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়দের নিয়ে সভা করেছে।
মামলার বিবরণ ও বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, হিলফুল ফজল পরিষদ নাম দিয়ে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বাদঘাট বাজারে দুইদিন ব্যাপী (১৯-২০ ফেব্রুয়ারি) তাফসির মাহফিলের নাম দিয়ে উগ্রবাদী প্রচারণা চালাচ্ছিল। বাদাঘাট বাজার সংলগ্ন বাদাঘাট মাদরাসা মাঠে সোমবার বাদ জোহর থেকে চারদিকে মাইক দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। রাত ১২টার পর প্রথম দিনের কার্যক্রম বন্ধ করে। ওয়াজ চলাকালেই একটি চক্র প্রচার করতে থাকে আলোচিত শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে অনুষ্ঠানে আসতে দেওয়া হচ্ছেনা এবং তাকে আটক করে পুলিশ ফাড়িতে নেওয়া হয়েছে এমন গুজব মাঠেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ এই শিশু বক্তা সুনামগঞ্জেই আসেননি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকশ উগ্রবাদী লোক এই গুজবে বিশ্বাস করে থানায় হামলা চালায়। তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ভাংচুর করে। এসময় তাদের হামলায় আহত হন ফাড়ির কনেস্টেবল সালাহ উদ্দিন ও উসমান গণি। হামলাকারীদের ইট পাটকেলে দরোজা জানালা ভাংচুরসহ গেইটও ভাংচুর করে থানায় ডুকার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক এই খবরটি তাহিরপুর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় হামলায় নেতৃত্বদানকারী বশির আহমদ, মোজাম্মিল হক, রায়হান মিয়া, মোশারফ মিয়া ও নাসির মিয়া নামে ৫জনকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি পৈলনপুর, বড়গোপটিলা ও আশপাশের এলাকায় বলে জানান এসআই নাজমুল। সংশ্লিষ্টরা জানান, ফাড়িতে হামলার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাইদ, সহকারি পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বাদাঘাট বাজারে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা করে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনায় বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় ১২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
হামলায় অভিযুক্ত হিলফুল ফুজুলের সভাপতি মাওলানা ইয়াহইয়া আহমদের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হিলফুল ফুজুল পরিষদের ওয়াজ মাহফিলে সভাপতিত্বকারী স্থানীয় মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাঈনুদ্দিন বলেন, দুইদিনের মাহফিল প্রথম দিন শেষ অনিবার্য কারণ বশত স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ ফাড়িতে হামলার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে অপারগতা জানান।
মামলার বাদী এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা যাছাই বাছাই করে দেখেছি ধর্মীয় পরিচয়ের আড়ালে ওরা আসলে উগ্রবাদী। তাই গুজব রটিয়ে ফাড়িতে হামলা করেছে। তারা পুলিশকে টার্গেট করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অথচ যার নামে গুজব রটিয়েছে সেই শিশু বক্তা আসেননি।
তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, ওয়াজ শেষে গুজব রটিয়ে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে এলাকার আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি অবনতি করতে চেয়েছে। হামলাকারীরা ফাড়ির গেইটসহ দরোজা জানালা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে। আমরা ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!