শাল্লা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাড়ির সীমানা নিয়েেবিরোধের জেরে পুলিশসহ অর্ধমত লোকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ১১মার্চ সকালে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামে এমন ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ২০জনকে আটক করেছে।
শাল্লা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সোমবার সকাল ৯ টার দিকে কান্দিগাঁও গ্রামের সেন্টু মিয়া ও মালেক মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে বাকবিতন্ডা দেখা দেয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে উভয়ের স্বজনরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ নিবৃত করতে চাইলে চার পুলিশ আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু ফাকা গুলি বর্ষণ ও সটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্শশত আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ২০জনকে আটক করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ম ও কয়েকজনকে ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) শহিদুল হক মুন্সি বলেন সেন্টু মিয়া ও মালেক মিয়ার মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে আমাদের ৪জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে ৭রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। এঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।