ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতকের সীমান্ত অঞ্চলে সরকারী ভুমি থেকে অবাধে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি চক্র। সরকারী ভুমি থেকে মাটি খুড়ে গর্ত করে এ চক্রটি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। প্রভাবশালি হওয়ায় স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। গত কয়েকদিন ধরে পাথর উত্তোলনে মহোৎসব চালাচ্ছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত অঞ্চল নিজগাঁও বাগানবাড়ি এলাকায় রয়েছে সরকারী প্রায় পঞ্চাশ একর ভুমি। পাহাড়ি সোনাই নদীর তীরবর্তী সরকারী এ ভুমিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান বালূ ও পাথর। ছোট-বড় পাথর ভুমির উপরিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। কিন্তু ভুমির উপরিভাগ থেকে মাটি বা বালু সরালেই বেরিয়ে আসে বিভিন্ন আকৃতির ছোট-বড় সারি-সারি পাথর। স্থানীয়রা জানান এ অঞ্চলটি সীমান্তের খুবই সন্নিকটে হওয়ায় এখান থেকে কেউ অবাদে পাথর উত্তোলনের সাহস দেখায়নি। তবে মাঝে-মধ্যে দু’ একজন শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ পাথর কুড়িয়ে টুকরি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে জড়ো করতো। এক পর্যায়ে ৫-১০ পাথর সংগ্রহ হলে স্থানীয়ভাবে তা বিক্রি করতো এসব শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ। সম্প্রতি পাথর খেকো স্থানীয় একটি চক্র পাথর উত্তোলনে হরিলুট কারবার চালাচ্ছে নিজগাঁও বাগানবাড়ি এলাকার সরকারী এ ভুমিতে । প্রতিদিন ২৫-৩০ জন শ্রমিক দিয়ে গর্ত করে তারা পাথর উত্তোলন করছে অবাধে। প্রতিদিনের উত্তোলকৃত পাথর এক জায়গায় ডাম্পিং করে রেখে, পরে বেলা শেষে ট্রলি দিয়ে এসব পাথর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। প্রতিদিন লাখ-লাখ টাকা মুল্যের পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় আকদ্দুছ, জাহির আলী, সিরাজ মিয়া সহ একটি চক্রের নেতৃত্বে নিজগাঁও বাগান বাড়ি এলাকার সরকারী ভুমি থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। বর্তমানে পাথর উত্তোলনে এ চক্রটি রীতিমতো হরিলুট চালাচ্ছে বাগান বাড়ি এলাকায়। এতে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি সরকারী সম্পদ লুটপাট করে সরকারের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। বিষয়টি প্রশাসনের দ্রুত হস্থক্ষেপ সহ অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।