স্টাফ রিপোর্টার::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার লাউগাঙ প্রকাশিত লাউয়াই জলমহাল স্যালু মেশিনে শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করছে ইজারাদার ও তাদের লোকজন। জলাশয়ের মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র ধ্বংস করায় প্রকৃতি বিনাশকারী ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গতকাল ২৫ মার্চ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০ একরের উর্ধেŸর লাউগাঙ প্রকাশিত লাউয়াই জলমহালটি ১৪২৯-১৪৩১ বাংলা সন পর্যন্ত ইজারা নেয় উপজেলার উজানীগাও গ্রামের আজম আলী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী জলমহালের চার ফুট পানি রেখে মৎস্য আহরণ করার কথা। কিন্তু ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করে শ্যালু মেসিন লাগিয়ে একেবারে শুকিয়ে মাছ ধরেছে। এতে হাওরের মিঠাপানির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি জলজ জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আবেদনে আরো জানানো হয় এলাকাবাসী বরাবর এই জলমহালে গরু বাছুর, থালা বাসন ধোয়া এমনকি অনেকে গোসলও করেন জলমহালটিতে। কিন্তু ইজারাদার শুকিয়ে মৎম্য আহরণ করার কারণে স্থানীয়রাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জীববৈচিত্রও হুমকির মুখে পড়েছে। ইজারা নেবার পর থেকেই ইজারাদার এভাবে মৎস্য আহরণ করে আসছে বলে জানান স্থানীরা। গ্রামবাসী ইজারাদারের প্রকৃতিবিনাশী এমন ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে সে উল্টো হুমকি ধমকি দিচ্ছে গ্রামবাসীকে। তাই অবিলম্বে জলমহাল আইনে ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান আবেদনকারীরা।
অভিযোগকারী তানভির আহমেদ বলেন, ইজারা নেবার পর থেকেই ইজারাদার জলমহালে মৎস্য আহরণের মওসুমে স্যালু মেশিন লাগিয়ে মৎস্য আহরণ করছে। গ্রামবাসী বাধা দিলে উল্টো হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়েই প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত আজম আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।