স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বারবার অস্ত্রের মহড়া ও হামলার ঘটনায় গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একনলা বন্দুকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার রাতে হাতিয়া গ্রামে কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ফুফুতো ভাই দবির মিয়া ও তার ছেলে জাফরান মিয়াকে আটক করে থানা হাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দিয়ে আদালতে হস্থান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের লোকজন বন্দুক নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়। বন্দুকের গুলিতে প্রতিপক্ষের তিনজন আহত হন। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হন। বন্দুকের মহড়ার এই ঘটনা স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে বন্দুকের মহড়া দেখে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। রাতে একরার হোসেনের আতœীয়-স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় একরার হোসেনের ফুফুতো ভাই দবির মিয়া ও তার ছেলে জাফরান মিয়াকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে একনলা বন্দুকও উদ্ধার করে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তবে অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনকারী ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের ভাই রানা, ভাতিজা রাজীব হোসেন, ঘনিষ্টজন শামীম মিয়াসহ মূল অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে।
দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে ২জনকে একনলা বন্দুকসহ আটক করা হয়েছে। তাদেরকে অস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে আটককৃত দুজনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।