স্টাফ রিপোর্টার::
কয়েকশ বছর ধরে সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড় সীমান্তে সাধক শাহ আরেফিনের ওরস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশ বিদেশের লাখো ভক্ত আশেকান মাজার এলাকায় জড়ো হোন। তারা রাতভর গানে সুরে আল্লা-রাসুলের গুনকীর্তন করেন। শাহ আরেফিনসহ লোকসাধকদের স্মরণ করেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। অনেকে মানত পূরণ করতে নানা বস্তু প্রদান করেন। এবার সব কিছু ঠিক থাকলেও ওরসে কাফেলা বসতে দেওয়া হয়নি। তাই তারা হামদ ও নাতসহ বাউল গান পরিবেশন করতে পারেননি। তবে এই সময়ে বরাবরের মতো হাজারো দোকান পাট বসতে দেওয়া হয়েছিল। দোকানপাট থেকে হাত মাপে (প্রতি হাতে ২০০ টাকা ও বৈদ্যুতিক বিল দেড়শ টাকা) প্রায় হাজারো দোকান থেকে চাদা উত্তোলন করা হয়েছে। শত বছর ধরে চলে আসার গান বাজনা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশেকান ও ভক্তবৃন্দ। তারা এটাকে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি আঘাত ও বাউলদের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ বলে মনে করেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দুধপুর গ্রামের পাহার উদ্দিন বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে বাবা শারফিনের মোকামে এসে কাফেলা বসিয়ে গান করি। গানে গানে আল্লা রসুলকে ডাকি। বাবা শারফিনের নাম নেই। গানে গানে মানুষের মিলনের কথা বলি। কিন্তু এবার কাফেলা বসতে দেওয়া হয়নি। গান বাজনার অনুমতি মিলেনি। তাই ভক্তবৃন্দ ও আশেকানরা হতাশ ও ক্ষুব্দ।
ধর্মপাশা উপজেলার আশেকান আসাদুল বলেন, ওরসে দোকানপাট, চাদা উত্তোলন সব ঠিক আছে। কেবল বাধা দেওয়া হয়েছে গান বাজনায়। অথচ আমরা প্রতি বছর শরিয়তি, মারিফতিগানসহ আল্লা রাসুলের ভজনা করেছি গানে গানে। গানের ভাষায় সাধক শাহ আরেফিনকে স্মরণ করেছি।
মাজার কমিটির সদস্যসচিব আলম সাব্বির বলেন, পবিত্র রমজান ও শবেকদর উপলক্ষে প্রশাসনের আদেশে আমরা কাফেলা বসতে দেইনি। তাই গান বাজনা হয়নি। তবে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব ভক্তবৃন্দ এসেছিলেন তারা ঠিকই প্রার্থনা করেছেন। তাদের কোন সমস্যা হয়নি।