হাওর ডেস্ক::
ঈদের পরদিন অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন শাবনূর। ফিরেই নেমে পড়েছেন কামব্যাক ছবি ‘রঙ্গনা’র শুটিংয়ে। এরই ফাঁকে ভোট দিয়েছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
এই গরমের মধ্যে দেশে ফিরলেন! কেমন লাগছে শুটিং করতে?
এত গরম পড়বে কে জানত! খুব কষ্ট হচ্ছে ইউনিটের সবার। ঘেমে নেয়ে একাকার। তার পরও ভালো লাগছে, অনেক দিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা, ‘রঙ্গনা’ আমার মনের মতো একটি ছবি।
তাই এই কষ্ট সহ্য করতে খারাপ লাগছে না। নামের প্রতি অবিচার করব না।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন এফডিসিতে গিয়েছিলেন। সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কেমন কাটল?
অস্ট্রেলিয়ায় বসেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি।
তবে সামনাসামনি দেখা হওয়ার মজাটাই আলাদা। কাল আমার প্রিয় অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। নির্বাচন সব সময় একটা উৎসব। হারজিত তো থাকবেই। সেটাকে বড় করে না দেখে এবার সবাই নির্বাচনটা উপভোগ করেছে।
ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।
যাঁদের ভোট দিলেন তাঁরা কি জয়ী হয়েছেন?
এটা বলব কেন! এটা আমার মধ্যেই থাক। যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন, যাঁরা পরাজিত হয়েছেন তাঁরা পরেরবার আবার চেষ্টা করবেন। মাত্র তো দুই বছরের মেয়াদকাল। দেখতে দেখতেই সময় চলে যাবে।
নবনির্বাচিতদের কাছে আপনার চাওয়া কী?
একটাই চাওয়া, কাজের ক্ষেত্র তৈরি করুন। শিল্পীদের বেশির ভাগই এখন বেকার। অভিনয়ের বাইরে তাঁরা তো আর কিছুই পারেন না। অনেকেই জীবনের বেশির ভাগ সময় এখানে পার করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে তাঁরা কোথায় যাবেন! তাঁদের জন্যও কাজ করুন, শেষ বয়সে যেন তাঁদের আর্থিক অনটনে না থাকতে হয়।
‘রঙ্গনা’ ছাড়াও চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ এবং আরাফাত হোসেনেরই অন্য ছবি ‘এখনো ভালোবাসি’তে অভিনয়ের কথা শোনা গেছে। ছবি দুটির কাজ কবে শুরু করবেন?
আমি দুজনকেই বলেছি, তড়িঘড়ি করে কোনো কাজ করতে চাই না। আগে পাণ্ডুলিপিটা মনের মতো হোক, সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করে সব গুছিয়ে নিয়ে তারপর শুটিং করা যাবে। আমাকে দর্শক আগে যেমন দেখেছিলেন এখনো তেমন শাবনূর হয়েই ফিরতে চাই। বছরে দরকার হলে একটি বা দুটি ছবি করব, না হলে একটিও করব না। তবে নামের প্রতি অবিচার করব না। শাবনূর হয়ে উঠতে আমার সময় লেগেছে তিন দশক। এক ঝটকায় সেটা ধূলিসাৎ হতে দেওয়া যাবে না।
এবারেই কি ‘রঙ্গনা’র কাজ শেষ করে ফেলবেন, নাকি মাঝখানে আবার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাবেন?
বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়ে এত টানাটানি কেন বলেন তো! আমি বাংলাদেশে থাকলেই বা কী আর অস্ট্রেলিয়ায় থাকলেই কী! আপনি জানেন, গত বছর আমি পাঁচবার দেশে ফিরেছিলাম। কেউ সেটার খোঁজ রেখেছিল? এবারও চার মাসের মধ্যে দুইবার এলাম দেশে। এখানে আমার বাড়ি আছে, ব্যবসা আছে, সরকারকে নিয়মিত ট্যাক্স দিই। তাহলে এত এত দেশে ফেরা নিয়ে কথা হবে কেন? ঠিক করেছি, এখন থেকে কবে দেশে এলাম, কবে গেলাম, কাউকে জানাব না।
এই সময়ের অভিনেত্রীদের নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? কেমন লাগে তাঁদের অভিনয়?
অনেকেই মেধাবী আছেন। তার প্রমাণও রাখছেন কাজে। তবে কেউ কেউ ভাইরাল হওয়ার নেশায় মত্ত। এটা খারাপ। কাজে ভাইরাল হলে দোষ নেই, অকাজে ভাইরাল না হওয়া উচিত। নাম বলব না, সেদিন দেখলাম একজন রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন, অদ্ভুত সব অঙ্গভঙ্গি করছেন। পরে শুনলাম টিকটক করছেন। এটা কী ভাই! এদের জন্য তো পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের সময় এসব ভাইরাল হওয়ার প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে সবাই কাজেই ফোকাস করতে পেরেছিল।
কালের কণ্ঠ।