হাওর ডেস্ক::
তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোদের তাপ ও গরমে মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী মানুষদের বেশি বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।
কাজের সন্ধানে বাইরে এসেও তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। ভ্যানচালকরা যাত্রী পাচ্ছেন না। কৃষি শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকেই ছিল বেশি তাপমাত্রা। সারাদিনই তীব্র গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র দাবদাহে ঝলসে যাচ্ছে কৃষকের ক্ষেতের ফসল। শুকিয়ে মারা যাচ্ছে গাছপালা।
পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়ায় দামুড়হুদার বিভিন্ন বিভিন্ন গ্রামের টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে কৃষকদের ক্ষেতে সেচ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে সময় লাগতো দুই ঘণ্টা এখন সেই জমিতে সময় লাগছে দ্বিগুন। জেলার হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রমের কৃষক ইছাহক আলী বলেন, ‘সকাল ১০টার পর থেকে মাঠে আর কাজ করা যাচ্ছে না।
রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। কৃষি শ্রমিকরা খুব সকালে মাঠে এসে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এতে যতটুকু কাজ হওয়া দরকার তা হচ্ছে না। এখন ধান কাটা ও পাট পরিচর্যা করার সময়। কোনো কাজই ভালোভাবে করা যাচ্ছে না।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ। দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।