অনলা্বাইন ডেক্লাস::
দেশকে যতটা সাধারণ ভেবেছিলেন অজি ক্রিকেটাররা, তার সাথে আসল টাইগারদের মিল পেলেন না। তাই দ্বিতীয় দিনের খেলা বাকী থাকতেই ২১৭ রানে অলআউট হয়ে গেল স্টিভেন স্মিথের দল। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে এতে প্রধান অবদান রাখলেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩ উইকেট নিয়ে তার যোগ্য সঙ্গী হলেন মেহেদী মিরাজ প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড পেল বাংলাদেশ। উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। উইকেট দুই দলের জন্যই সমান। বাংলাদেশ কখনো সফরে গেলে অস্ট্রেলিয়াও তাদের সুবিধামতো উইকেট বানাবে। এটাই হয়ে থাকে ক্রিকেটে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন সকালেই প্রথম আঘাত হানেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশের প্রধান ‘দুঃশ্চিন্তা’ ১৬ বলে ৮ রান করা অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন রেনশ আর হ্যান্ডসকম্ব। তাদের সেই প্রতিরোধ ভেঙে মঞ্চে আবির্ভূত হলেন তাইজুল ইসলাম। তার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন ৬৭ বলে ৩৩ রান করা বিপজ্জনক হ্যান্ডকম্ব। ১০২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় অজিরা। এরপর বল হাতে ফিরেই সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। সৌম্য সরকারের তালুবন্দী হয়ে বিদায় হন একপ্রান্ত আগলে লড়াই করতে থাকা ওপেনার ম্যাট রেনশ (৪৫)।
৬ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাফল্য এনে দেন তরুণ অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন অজি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড (৫)। তখনও উইকেটে ছিলেন বিপজ্জনক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে ২৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরিয়ে দেন বিশ্বসেরা সাকিব। এরপরই লেজের দাপট দেখানো শুরু করে অজিরা।
১৪৪ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ৪৯ রানের জুটি গড়ে অ্যাস্টন অ্যাগার এবং প্যাট কমিন্স। অবশ্য এতে পেসার শফিউল ইসলামের বড় অবদান আছে। সাকিবের বলে প্যাট কমিন্সের সহজ ক্যাচ তালগোল পাকিয়ে হাতছাড়া করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চা বিরতির পরপর কমিন্সকে (২৫) বোল্ড করে প্রতিরোধ ভাঙেন বিশ্বসেরা সাকিব। এরপর ৫ রান করা হ্যাজেলউডকে ইমরুলের তালুবন্দী করে অজিদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সাকিব। ২৫.৫ ওভার বল করে ৭ মেডেনসহ ৬৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। আর মেহেদী মিরাজ ২৬ ওভার বল করে ৬ মেডেনসহ ৬২ রানে ৩ উইকেট নেন।