স্টাফ রিপোর্টার
তাহিরপুর উপজেলায় ঘাগটিয়া তালুকদার বাড়ির উদ্যোগে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশু কিশোরদের মধ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চকবাজার মাদ্রাসা মাঠে এসব বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক কয়লা আমদানী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও আব্দুস শহীদের সঞ্চালনায় বস্ত্র বিতরণ পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, এএসপি সার্কেল কানন দেবনাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন খান, সেক্রেটারী অমল কান্তি কর, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর, বাদাঘাট উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন, বাদাঘাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জুনাব আলী, সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন আয়োজক তালুকদার বাড়ির মুজিবুর রহমান তালুকদার, মোকাররব তালুকদার, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোশাহিদ হোসেন, মো.আলী আকবর, মিজানুর রহমান রাসেল।
ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান বলেন, দু’দফা বন্যায় ফসল হারিয়ে হাওরাঞ্চলের মানুষ আজ নিঃস্ব। মুখে খাবার নেই, পড়নে ভাল কাপড় নেই। অসহায়দের পাশে তালুকদার বাড়ির লোকজন এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এলাকার মানুষও তাদের এ উদ্যোগে শামিল হতে দেখেছি। এ রকম উদ্যোগকে স্বাগত জানানোও ত্যাগের নমুনা বহন করে। আমরা চাই বছর বছর তাদের এ সেবা হতদরিদ্রদের কল্যাণ বয়ে আনুক। তালুকদার বাড়ির মতো এলাকার বিত্তশালীরাও ধন সম্পদের কিছু অংশ দান করে দু:স্থদের পাশে এসে দাঁড়াবেন। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি অসহায়দের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গি, পাজামা-পাঞ্জাবী, শার্ট বিতরণ করেন। বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নির্ধারিত ৫০০ জন হতদরিদ্রদের মধ্যে বস্ত্র গ্রহন কার্ড বিতরণ করা হলেও অতিরিক্ত ৫/৬শত নারী পুরুষ লাইনে এসে দাঁড়ায়। তাদের হাতে বস্ত্র গ্রহন কার্ড না থাকায় হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন। কারো চোখে জল ছল ছল করতে দেখা যায়। তবুও তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় থাকেন বস্ত্র গ্রহণের আশায়। হতদরিদ্রদের এ রকম দৃশ্য আয়োজক দানশীল ব্যক্তিত্ব মুজিবুর রহমানের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। তিনি ছুটে যান অসহায়দের পাশে। তাদের আশ্বস্থ করে বলেন, তোমরা অধৈর্য্য হইওনা, আমি কাউকে খালি হাতে ফেরৎ দেব না। তালিকাভুক্ত ৫০০ জনের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ শেষে অপেক্ষামান ৫/৬শত অসহায়দের মাঝে আয়োজকরা বস্ত্র বিতরণ করেন। আয়োজকদের এ রকম ত্যাগী উদ্যোগে খুশী হয়েছেন বন্যা দুর্গত ক্ষতিগ্রস্তরা।