হাওর ডেস্ক::
রানপ্রসবা চট্টগ্রামের উইকেট বরাবরই একটু পেস সহায়ক। শুক্রবার (৩ মে) প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেটা কাজেও লাগিয়েছেন পেসাররা। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের কথা বলতেই হয়। ম্যাচের দশ ওভারের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার কাজটা করেছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে আউট করেন তাসকিন। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা ক্লাইভ মাদান্দেকেও ফেরান তিনি। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয়া এই বোলারের ঝুলিতেই গেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার নিতে এসে এই পেসার জানিয়েছেন, সামর্থ্যের চেয়েও বেশি দেয়ার চেষ্টা করেছেন ম্যাচে, আর সে কারণেই সাফল্য এসেছে।
আরও পড়ুন: অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
শুধু নিজের কথাই বলেননি তাসকিন। পুরো বোলিং ইউনিটেরই প্রশংসা করেছেন তিনি। প্রশংসা অবশ্য প্রাপ্যও সবার। ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই চমক দেখিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত সব ইয়োর্কারের ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেছিলেন এই পেসার। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। শুরুর দিকে শেখ মেহেদীও ছিলেন দুর্দান্ত। ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন এই স্পিনার।
পুরস্কার নিতে এসে বোলিং ইউনিট নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘প্রথমত আমরা আজ দারুণ জয় পেয়েছি, বল হাতে ভালো শুরু পেয়েছি। আমরা বেসিক কাজটা ঠিকঠাক করেছি, সে কারণেই পুরস্কৃত হয়েছি। গত কয়েক সপ্তাহ সবাই কঠোর অনুশীলন করছে, সেই ফল পাচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। ১১০ শতাংশ দিচ্ছি। আমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি, সামনেও এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: অভিষেকেই বাংলাদেশকে জেতালেন তানজিদ
বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট অধিনায়ক শান্তও, ‘আজ সবাই খুব ভালো খেলেছে। তাসকিন, মেহেদী, আসলে সব বোলারই আজ ভালো শুরু করেছে এবং আমি তাতে খুব খুশি।’
আগামী রোববার (৫ মে) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। সেই ম্যাচেও তাসকিনরা এমন দাপট দেখাতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।