হাওর ডেস্ক::
বুধবার (৮ সে) দিবাগত রাত ১টার দিকে হাজারীবাগ থানা পুলিশ পূর্ব রায়েরবাজার হাই স্কুলের ঢালে ১১৬/৩ নম্বর একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলার মেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। মাসুদুল মাহমুদ রুহান ‘রেডরাম’ চলচ্চিত্র, ‘দ্যা সাইলেন্স’ ওয়েব সিরিজ, ‘আমি কি তুমি’সহ আরও বহু নির্মাণে প্রযোজনা করেছেন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র পরিচালক এম এ আউয়ালের মরদেহ উদ্ধার
লাশ উদ্ধারকারী হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন কুমার বিশ্বাস জানান, এক মাস আগে স্ত্রীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় রুহানের। তবে এর আগে থেকেই গত দু মাস যাবৎ পূর্ব রায়েরবাজারের ওই মেসে থাকতে শুরু করেন রুহান। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শুটিংয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার আসা যাওয়া বেশি ছিল। যখন ঢাকায় ফিরতেন তখন ওই মেসে গিয়ে থাকতেন। তার রুমমেট বুধবার রাত ১১টার দিকে মেসে ফিরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সাথে বিছানার চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন রুহান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মধ্যরাতে সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ এবং পারিবারিক বিভিন্ন কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবুও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল মর্গে মৃত রুহানের খালাতো ভাই মনজুরুল হাসান অলি জানান, গত দুই থেকে আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন রুহান। স্ত্রী নিয়ে রায়েরবাজার শেরেবাংলা রোডে থাকতেন। তবে মাসখানেক আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকেই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন রোহান। ডিভোর্সের কিছুদিন আগ থেকেই মেসে থাকা শুরু করেন। গত রাত ১টার দিকে রুহানের সহকর্মীদের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান তারা। রুহান ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেও তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।