হাওর ডেস্ক::
বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ অপরিচিত একটি নম্বর থেকে বারবার ফোন পেয়ে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টে যায়। তবে ভুলে তারা ওই কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তার ইউনিটে ঢুকে পড়েন আর তার হাতে একটি বন্দুক দেখতে পান। এরপরপরই তারা ওই বিমান কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেন।
নিহত ওই বিমানকর্মকর্তার নাম রজার ফোর্টসন। ২৩ বছর বয়সী ফোর্টসন হার্লবার্ট ফিল্ডের বিশেষ অপারেশন শাখায় ছিলেন। শুক্রবার (৩ মে) যখন তাকে গুলি করা হয় তখন তিনি ফোর্ট ওয়ালটন বিচে তার অফ-বেস অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন।
এক বিবৃতিতে নাগরিক অধিকার বিষয়ক আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন, মার্কিন পুলিশ যখন ফোর্টসনকে হত্যা করে তখন তিনি এক নারীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে আরেক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করল মার্কিন পুলিশ
ক্রাম্পের মতে ওই নারী তাকে বলেন, ফোর্টসন যখন তার দরজায় ঠকঠক শব্দ শুনতে পান তখন তিনি অ্যাপার্টমেন্টে একা ছিলেন। তিনি জানতে চান বাইরে কে? কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। এর কয়েক মিনিট পরে, ফোর্টসন জোরে ধাক্কা দেয়ার শব্দ শুনতে পান। এমনকি দরজায় পিপহোলে তাকিয়েও কাউকে দেখতে পাননি।
ওই নারী আরও বলেন, ‘ফোর্টসন উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তিনি বন্দুক নিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন।’ ফোর্টসন আইনত ওই বন্দুকের মালিক ছিলেন বলে জানান আইনজীবী।
ক্রাম্পের বিবৃতি অনুসারে, ফোর্টসন তার বসার ঘরে ফিরে যাওয়ার সময়, ডেপুটিরা দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বন্দুক হাতে দেখে ছয়টি গুলি করেন।
আরও পড়ুন: ভিডিও নিয়ে তোলপাড় /অন্তঃসত্ত্বাকে গুলি করে মারল যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফোর্টসন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বলেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ফোর্টসন একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।