1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

হাওরে মাটি ভরাট করে আর রাস্তা করতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ৬.৩০ পিএম
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
পানির স্রোত অব্যাহত রাখতে হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা নির্মাণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “হাওর এলাকায় আর কোনো মাটি ভরাট করে রাস্তা হবে না। নির্দেশদিয়েছি যেন পানির স্রোত অব্যাহত থাকে। বন্যার সময় অনেক রাস্তা ভেঙে যায়, যেখানে ভেঙে যাবে সেখানে মাটি ভরাট করতে দেই না। সেখানে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দিয়েছি। কারণ আবার যদি বন্যা হয়, তাহলে তো আবারও ভাঙবে, সেই বিষয়গুলো মাথা রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।”

শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবির) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাওর এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছিলেন সরকার প্রধান।

কিশোরগঞ্জ জেলায় হাওরের বুকে ইটনা থেকে মিঠামইন হয়ে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক চালু হয় ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর। হাওরের বিশাল জলরাশির মাঝখানে সড়কটি এখন আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে হাওরবাসীর চলাচলও সহজ হয়েছে। কিন্তু এ সড়কের কারণে বর্ষায় পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রাস্তা বানাতে কম খরচ, বাংলাদেশ বেশি খরচ হয় কেন? যারা বলেন আমার মনে হয় তাদের বাংলাদেশের মাটি সম্পর্কে ধারণা নেই।

“কারণ, আমাদের মাটি তো নরম মাটি। যেটাকে বলে দোআঁশ মাটি। টেকসই কিছু করতে গেলে আগে আমাদেরকে মাটিটা তৈরি করতে হয়। মাটিকে যথাযথভাবে তৈরি করতে পারলে তাহলে সেটাই টেকসই হয়।”

প্রয়োজনে খালের ওপরে উড়াল পথ

জলাধার নষ্ট না করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, “আমি দেখেছি একটা সুন্দর বড় পুকুর, তার ভিতরে বিল্ডিং বানানের প্ল্যান নিয়ে আপনারা হাজির হন। আমি আসার পর যে কয়টা এসেছে, আমি বাতিল করে দিয়েছি। আমি আসার আগেই এই ঢাকা শহরে অনেক পুকুর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই এলাকার যত পানি সেটা যাবে কোথায়?”

বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর বাস্তবতায় সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের বিকল্প নেই বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।

“পান্থপথের একটা বিল, পুরা বর্ষাকালে সেখানে পানি জমত। ওখানে একটা খাল ছিল। বক্স কালভার্ট করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে যায়। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হলো। আমাদের দেশের জন্য এটা (বক্স কালভার্ট) প্রযোজ্য না। আমি মনে করি আমাদের উন্মুক্ত খাল থাকবে। দরকার হলে আমরা সেখানে এলিভেটেড রাস্তা করব। নিচে খাল, উপরে রাস্তা।”

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আপনারা জানেন ছিয়ানব্বই সালে দেশের কীঅবস্থা ছিল। বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। মাত্র ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া যেত। ৪৬০০ মেগাওয়াটে উন্নত করে যাই। তারপর দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি তখন কী ছিল? সেই ৪৬০০ থেকে কমে গিয়েছিল। সেই থেকে যাত্রা শুরু করে আজকে আমরা ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।

“আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সাল এবং একচল্লিশ সালের মধ্যে কতটুকু উৎপাদন করব। একচিল্লশ সালের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রকৌশলীদের গবেষণা দরকার।”

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজটা সচল রাখতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি, সেটা চিন্তা করেই প্রকল্প নিতে হবে।”

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।

এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার। দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশন এটি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!