হাওর ডেস্ক::
শনিবার (১১ মে) সকাল থেকে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও পৌর এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপর দ্রæত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে বাদ মাগরীর পৌর শহরে হাজারো প্রতিবাদী জনতা রাস্তা নেমে পড়েন। শুরু হয় প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাসিয়া সেতু উপর অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভাস্থলে এসে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা কটুক্তিকারী শিক্ষক একে আজাদকে রোববার (১২ মে) সকাল ১১টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচী দিবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। এর পাশাপাশি ‘রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে তাকে বরখাস্ত করার জোরদাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুফি শামসুল ইসলাম, কুরুয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আক্তার আলী, বিশ্বনাথ দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাসান-বিন-ফাহিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, রেসকিউ লাইফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুর নূর তুষার প্রমুখ’সহ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ‘দর্শনের স্কুল’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) ও ধর্মকে নিয়ে শিক্ষক একে আজাদের লেখার স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং মুসলমানদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। রোববার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসেও ক্ষমা চান ওই শিক্ষক। তবে, ওই শিক্ষক বিকেলেই পৌর শহরের নিজ বাসা থেকে পালিয়ে যান বলেও একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে।