হাওর ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ব্যবহৃত বিছানার চাদর নোংরা পরিবেশে মাঠে খড় ও ঘাসের মধ্যে শুকানো হচ্ছে। যা অস্বাস্থ্যকর এবং বিপজ্জনক। যেখানে হাসপাতালে ব্যবহৃত কাপড় নির্ধারিত স্থানে লন্ড্রি করার কথা সেখানে খোলা মাঠে খড়ের মধ্যে অযত্নে শুকানো হচ্ছে এসব কভার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
রোগীদের কাপড় খড়ের মধ্যে শুকানোয় চুলকানিসহ নানা রোগের আশঙ্কা আছে। একটি হাসপাতালের কাপড় চোপড় এভাবে উন্মুক্ত মাঠে খড়ের মধ্যে শুকানোর কোন কথা না থাকলেও শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হয়েছে এর উল্টো। হাসপাতালের কাপড় এভাবে শুকানোর দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার উজানীগাঁও মাঠে।
সচেতন মহলের মতে, একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে রোগীদের ব্যবহৃত বেডের কাপড়চোপড় এভাবে খড়ের মধ্যে শুকানো কোনভাবেই ঠিক না। যেখানে রোগ সারানোর জন্য মানুষ আসেন সেখানে এমন পরিস্থিতি খুবই লজ্জাজনক। আমরা আশা করব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।
উজানীগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এই কাপড় শুকানোর দৃশ্য মোবাইলে তুলে ফেসবুকে ছাড়ায় অত্র হাসপাতালের মাস্টাররুলে চাকুরীতে থাকা আফিক আমাকে গালিলাজ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, শুধু বিচানার চাদরই নয়৷ দিন দিন হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা হচ্ছে৷ কর্তৃপক্ষকে এদিকে নজর দেয়া উচিত।
শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আরএমও তারিক জামিল অপু বলেন, এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে আমরা শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব যাতে পুণরায় এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হাসান বলেন, আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে কাপড় লন্ড্রিতে দিয়েছি। মাঠে খড়ের মধ্যে হাসপাতালের কাপড় শুকানোর ব্যাপারে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ বলেন, বিষয়টি আমি প্রথম শুনলাম। ভবিষ্যতে যাহাতে এই ধরনের কাজ না হয় সে বিষয়ে আমি কতৃপক্ষের সাথে জোর আলোচনা করব।