স্টাফ রিপোর্টার::
চাদের পরিবর্তনের বিভিন্ন দৃশ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, পুষ্টিকর খাবারের সমাহার, গণিত ও জ্যামিতির ধারণার চিত্রসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পাঠদানের উপকরণ নিয়ে সজ্জিত করা হয় ১১টি স্টল। প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেও স্টলগুলো সাজানো হয় সুন্দর ভাবে। সেখানে রাখা হয় শিখন পদ্দতির সচিত্র। সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মঙ্গলবার দিনব্যাপী জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনাসভা, উপকরণপ্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষাঅফিসার মোহনলাল দাসের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক নেতা হারুন রশিদ ও রোকসানা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের সুপার অনিতা রায়, সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুব জামান, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুর রহিম বাবর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক পরিবার অনেক বড়ো একটা পরিবার। বঞ্চনা ও অপ্রাপ্তি অনেক আছে। তারপরও তাদের মধ্যে চমৎকার যে বন্ধন আছে সেইবড়ো শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষায় বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা সৃজনশীল জাতিগঠনের শ্রেষ্ট কারিগর। সমাজে তাদের দায়িত্ব ও গুরুত্বও বেশি। তাদের সম্মান ও মর্যাদাও রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ও কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে সরকার জোর ও গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা কেবল স্বপ্নই নয়, প্রত্যাশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলব। স্বপ্নবাজও সৃজনশীল জাতি গঠনে সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।