হাওর ডেস্ক::
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ মধ্যেও সুরমা নদীর পানি দেখতে ভীড় করেছেন উৎসুক জনতা। শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় শত শত মানুষ সুরমা নদীর পানি দেখতে ভিড় জমান নগরীর কিনবিজ্র এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শতশত মানুষ সুরমা নদীর কিনবিজ্রের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে কয়েক শথ মানুষ আড্ডা জামান। যার অন্যতম কারণ সুরমার পানি দেখা। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে এসেছেন আর কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। অনেকেই মুর্হুতটি ধরে রাখতে ছবি তুলছেন।
উপস্থিত অনেকেই জানান,
সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও সকল নদ নদীর পানি বেড়েছে। বর্ষার মৌসুমে সুরমা নদী ভরা যৌবনে রুপ নেয়। এসময় সুরমার দৃশ্য বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠে।
ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে
সিলেটের আট উপজেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আট উপজেলার মধ্যে কোথাও উন্নতি, আবারও কোথাও অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। সীমান্ত এলাকায় পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে শহর ও নিম্নাঞ্চলে। অকাল বন্যায় এরইমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে
সিলেট শহরের কিছু অংশসহ সাতটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে
সিলেটে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজারে ও গোলাপগঞ্জের একাধিক এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে বিয়ানীবাজার উপজেলার একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত সিলেটের নদ নদীগুলির তিনটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক দুর্গত এলাকাগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২শ মি.মি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন যা ছিলো সাড়ে ৬শ মি.মি। ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।