1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

বিমান দুর্ঘটনায় অ্যাপোলো-৮ এর নভোচারী উইলিয়াম অ্যান্ডার্সের মৃত্যুর শোক

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ১.২৯ পিএম
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী উইলিয়াম অ্যান্ডার্স সান হুয়ান দ্বীপপুঞ্জে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

তিনি ১৯৬৮ সালে অ্যাপোলো-৮ মহাকাশযানের সদস্য ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছেলে গ্রেগরি অ্যান্ডার্স সিএনএনকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

“খবরটি পেয়ে আমরা খুব বিধ্বস্ত এবং একজন মহান বৈমানিককে হারিয়ে শোকাহত,” বলেন গ্রেগরি।

সান হুয়ান কাউন্টি শেরিফ কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জোন্স দ্বীপের উপকূলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের ডেসপ্যাচ সেন্টার একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন পায়, যাতে বলা হয়, পুরোনো মডেলের একটি বিমান উত্তর থেকে দক্ষিণে উড়ছিল, তারপর জোন্স আইল্যান্ডের উত্তর প্রান্তের কাছে পানিতে পড়ে ডুবে যায়।

সান হুয়ান কাউন্টি শেরিফ এরিক পিটার এক ইমেইলে সিএনএনকে বলেছেন, খবর পেয়ে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে বিধ্বস্ত বিমানটির অনুসন্ধান শুরু করে।

উদ্ধারকারী বিভিন্ন সংস্থার ঘণ্টাখানেক ধরে অনুসন্ধানের পর উইলিয়াম অ্যান্ডার্সের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড।

সান হুয়ান দ্বীপপুঞ্জ সিয়াটল থেকে প্রায় ৯০ মাইল উত্তরে অবস্থিত।

উইলিয়াম অ্যান্ডার্সের জন্ম ১৯৩৩ সালের ১৭ অক্টোবর হংকংয়ে। ১৯৫৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল একাডেমি থেকে স্নাতকের পর নৌবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন।

নাসা এবং ইউএস নেভাল একাডেমি জানিয়েছে, অ্যান্ডার্স ক্যালিফোর্নিয়া এবং আইসল্যান্ডের এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের অল-ওয়েদার ইন্টারসেপশন স্কোয়াড্রনে ফাইটার পাইলট হিসেবেও কাজ করেছেন।

নাসায় তার জীবনী থেকে জানা যায়, নিউ মেক্সিকোতে এয়ার ফোর্স ওয়েপনস ল্যাবরেটরিতে থাকার সময় অ্যান্ডার্স পারমাণবিক শক্তি চুল্লি সুরক্ষা এবং বিকিরণ প্রভাব কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।

তিনি ১৯৬৪ সালে নাসার নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৬ সালে জেমিনি-১১ মিশন এবং ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ ফ্লাইটের ব্যাকআপ পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মহাকাশযান থেকে অ্যান্ডার্স ১৯৬৮ সালের ক্রিসমাসের প্রাক্কালে অ্যাপোলো-৮ উড্ডয়নের সময় পৃথিবীর অগ্রভাগে চাঁদের পৃষ্ঠের একটি আইকনিক ছবি তুলেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল ‘আর্থরাইজ’।

অ্যান্ডার্সের বিখ্যাত উক্তি, “আমরা চাঁদ অন্বেষণ করতে এতদূর এসেছি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমরাই পৃথিবী আবিষ্কার করেছি।”

অ্যান্ডার্স, লোভেল এবং বোরম্যান ১৯৬৮ সালে টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক ‘মেন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

অ্যান্ডার্স ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস কাউন্সিলের নির্বাহী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন শুক্রবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, “অ্যান্ডার্স মানুষের জন্য চমৎকার উপহার দিয়ে গেছেন। তিনি চাঁদের নিকটবর্তী স্থানে উড্ডয়নের সময় কিছু অসাধারণ ছবি তুলেছেন। যা একজন নভোচারীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি পাঠ এবং অন্বেষণের উদ্দেশ্যকে মূর্ত করেছিলেন। আমরা তার অভাব বোধ করবে।”

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!