হাওর ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ।
এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে সমালোচনার মুখে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আবুল কালাম আজাদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বাকি বিল্লাহর ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেনের ভাগ্নে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ফেইসবুকে ‘বিতর্কিত’ লেখালেখির অভিযোগ রয়েছে।
আজাদের সহকর্মী এবং পরিচিতরা জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে বিতর্কিত ওই পোস্টটি দেন। বুধবার সকাল থেকেই তার ওই পোস্ট ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আজাদের শাস্তি দাবি করেছেন।
সমালোচনার মুখে বুধবার বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে কোনো এক সময় তিনি ওই স্ট্যাটাসটি ফেইসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিপন আহমেদ বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই সরদার আবুল কালাম আজাদ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এখন তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানেন না। তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে কথা বলতে সরদার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরদার আজাদের মামা লোকমান হোসেন বলেন, “আজাদ ফেইসবুকে যেটা লিখেছে, সেটা সে কোনোভাবেই লিখতে পারে না। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দলীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবেই তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”