হাওর ডেস্ক::
এবার হজের সময় যাতায়াতের নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে; হজযাত্রীদের জন্য ইলেক্ট্রিক স্কুটার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে মক্কা নগরী ও পবিত্র স্থানের জন্য গঠিত দ্য রয়্যাল কমিশন।
সৌদি গেজেট লিখেছে, হালকা ও নিরাপদ এই বাহন পবিত্র স্থানগুলোতে সহজে যাতায়াতের যেমন সুযোগ দেবে, তেমনই অভিজ্ঞতা হবে আগের চেয়ে ভালো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ও সমন্বয়ে এসব বাহন চলবে।
এরইমধ্যে ইলেক্ট্রিক স্কুটারের জন্য তিনটি পথ ঠিক করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে আছে মুজাদালিফা থেকে মিনা; জামারাতের হেঁটে চলার পথ থেকে পশ্চিম দিক এবং পূর্ব দিক। এসব পথের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১ দশমিক ২ কিলোমিটার, প্রস্থ ২৫ মিটার।
অনুমতি পাওয়া স্কুটারের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার। সহজেই ব্যবহারযোগ্য এসব বাহন যেমন সময় সাশ্রয়ী, তেমনই কম খরচে উন্নত ও নিরাপদ চলাচলের অভিজ্ঞতা দেবে।
সৌদি আরবে শুক্রবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে। পরদিন কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা।
হজযাত্রীরা ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। রীতি অনুযায়ী জিলহজ মাসের নবম দিনটি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে ইবাদতে কাটানোই হল হজ।
এদিন সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা রওনা হন মুজদালিফার পথে। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে পাথর সংগ্রহ করেন।
সেখান থেকে মিনায় গিয়ে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন। এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করেন এবং সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্বের প্রায় ১২ লাখ মানুষ হজ পালনে সৌদি আরব জড়ে হচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ যাচ্ছেন হজ করতে।