স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ‘মুজিব ১০০ পার্ক’এ তরুণ তরুণীকে নিপীড়ন, হয়রানি ও মারধরের ঘটনায় তিন বখাটে ও চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। দু’জনকে মঙ্গলবার রাতে এবং আরেকজনকে বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নির্যাতিত তরুণ বাদী হয়ে শ্লীলতাহানী, চাঁদাবাজি, মারধরের মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুজন রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আফতাব, মল্লিকপুরের আমির হোসেনের ছেলে শরিফ উদ্দিন, কৃষ্ণ দাসের ছেলে আকাশ দাস সবসময় ওই পার্কে বসে নারীদের উত্যক্ত করে। উন্মুক্ত পার্কে নিরীহ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের অজান্তে ছবি ও ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল করতো। এর মধ্যে আফতাব নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে চাদাবাজি ও শ্øীলতাহানী করতো। অনেক নীরিহ লোককে এভাবে জিম্মি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো। গত ৯ জুন বিকেলে এই তিন বখাটে পরিকল্পিতভাবে তরুণ তরুণীকে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করে। এ ঘটনাটি একটি টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন উপস্থিত থেকে লুকিয়ে ভিডিও করে প্রচার করলে তিন বখাটের বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। তারা তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
উন্মুক্ত স্থানে তরুণ তরুণীকে শ্লীলহাহানী, মারধর ও ব্ল্যাকমেইল করে চাদা দাবি করায় ক্ষুব্দ নেটিজেনরা ক্ষোভে ফুসে ওঠেন। তারা এই তিন বখাটের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এরপরেই নির্যাতিত তরুণ তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরম মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত আকাশ ও শরিফ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে এই ঘটনার মূল হোতা যে নিজেকে অনলাইন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বখাটেপনা ও চাঁদাবাজি করে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে আকাশ ও শরিফ উদ্দিনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আফতাবকে পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে।
সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার প্রধান হোতা আফতাবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি, শ্লীলহতানী ও মারধরসহ নানা অভিযোগে মামলা করেছেন ভিকটিম।