স্টাফ রিপোর্টার::
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জ জেলা শহর ও ছাতক শহরের লাখো মানুষ পানিবন্ধী। সুনামগঞ্জ শহরের প্রায় ৮ ভাগ ঘরবাড়ি ও ছাতক শহরের প্রায় ৭০ ভাগ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ছাতক শহরের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। দুটি শহরের স্কুল কলেজকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষনা করে বন্যার্তদের আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ছাতক শহরের ৭০ ভাগ এলাকা প্লাবিত। বেশিরভাগ মানুষের বাসাবাড়িতে পানি। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। আমরা মানুষদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাতক শহরের পাশাপাশি ছাতাক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা খাসিয়ামারা বেরিবাধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, ছাতক গোবিন্দগঞ্জ সড়ক ডুবে যাওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে ছাতক শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুটি উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও বন্ধ।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আহমদ নূর বলেন, আমার শহরের ৮০ ভাগ এলাকা প্লাবিত। এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষেরই ঘরবাড়িই পানি প্রবেশ করেছে। শহরের বাসাবাড়ি, দোকান পাঠ, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠাচ্ছি এবং শুকনো খাবার সরবরাহের চেষ্টা করছি।
এদিকে ছাতক, দোয়ারাবাজারসহ গ্রাম এলাকা গত দুদিন ধরে বিদ্যুৎহীন আছে। পল্লী বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে দুদিন ধরে। ফলে ঈদের সময়ে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় আমরা ত্রাণ পাঠিয়েছি। ত্রাণ মজুদ আছে। আরো ত্রাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লেখা হয়েছে।